
দেশ ও জাতির উন্নতি, সমৃদ্ধি এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও শৃঙ্খলা কামনা করে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ঈদুল আজহার প্রধান জামাত এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাত শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় দুর্নীতি প্রতিরোধ, পারস্পরিক আন্তরিকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ গঠনে সকলের সহযোগিতা কামনা করে দোয়া করা হয়। একই সঙ্গে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।
জামাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন।
ঈদের এ জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক। বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বিনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের উপ-পরিচালক মাওলানা মো. জাকির হোসেন। কারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও কারি মো. ইসহাক।
এদিকে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহা উপলক্ষে মোট পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ড. খলিলুর রহমান মাদানী এবং মুকাব্বির ছিলেন মো. আব্দুল হাদী।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ড. মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী এবং মুকাব্বির ছিলেন মো. নাসির উল্লাহ।
সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় জামাতে ইমামতি করেন ড. মুশতাক আহমদ এবং মুকাব্বির ছিলেন মো. বিল্লাল হোসেন।
চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়, এতে ইমামতি করেন মুফতি মো. আব্দুল্লাহ এবং মুকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো. আমির হোসেন।
পঞ্চম ও শেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন এবং মুকাব্বির ছিলেন মো. জহিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৯:০৯ ১০ বার পঠিত