বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি : কৃষি উপদেষ্টা

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি : কৃষি উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫



বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি : কৃষি উপদেষ্টা

কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশীয় ফল উৎপাদনে প্রত্যাশিত অগ্রগতিতেও বিদেশি ফল আমদানি করতে হচ্ছে। প্রতিবছর দেশে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টন ফল আমদানি করতে ১০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা চলে যায়। আমদানীকৃত ফলের প্রায় ৮৫ শতাংশই আপেল, কমলা, মাল্টা ও আঙুরের দখলে।’

তিনি বলেন, ‘তবে আশার কথা, দেশেও সীমিত পরিসরে কমলা ও মাল্টার চাষ হচ্ছে, যা ক্রমান্বয়ে ফল আমদানিনির্ভরতা কমাবে।
জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে জাতীয় ফল মেলা ২০২৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মেলা উপলক্ষে খামারবাড়িস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বাণিজ্যিকীকরণে দেশি ফল : বর্তমান প্রেক্ষিত, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবন ‘ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।

কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ৬৪ জেলায় এই মেলা হবে, উপজেলায়ও মেলা হবে। এর উদ্দেশ্য হলো দেশীয় ফল সবার কাছে পরিচিত করা। অনেকেই দেশি ফল চেনেন না। তারা আঙুর, আপেলের মতো বিদেশি ফল খান।
অথচ আমাদের ফলের গুণগত মান ও স্বাদ বিদেশি ফলের থেকেও বেশি।

দেশবাসীকে দেশি ফল খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশি ফল খেলে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। আমরা বিদেশে প্রচুর দেশি ফল পাঠাচ্ছি। যার মধ্যে রয়েছে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা। চীনে নতুনভাবে আম পাঠানো শুরু হয়েছে।
রপ্তানি বাড়লে কৃষকরা উপকৃত হবেন।’

উপদেষ্টা সমন্বিতভাবে টেকসই নিরাপদ ও পুষ্টিগুণ-সম্পন্ন খাদ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, আসুন আমরা সকলে এই বছর অন্তত একটি করে ফলদ গাছ লাগাই এবং প্রতিদিন নূন্যতম একটি করে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি।

রাজধানীসহ দেশের ৬৪ জেলার ৪৩১ উপজেলায় এ ফল মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় ফল মেলার এবারের প্রতিপাদ্য- ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’। রাজধানীর খামারবাড়ির কেআইবি চত্তরে অনুষ্ঠিত এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত। সরকারি পর্যায়ে ২৬টি ও বেসরকারি পর্যায়ে ৪৯টি মিলিয়ে মোট ৭৫টি প্রতিষ্ঠান এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। ফল মেলায় আগত দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৪:৫৫   ২০০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও বাণিজ্য’র আরও খবর


ভোজ্যতেলের বাজারে কাউকে নৈরাজ্য করার সুযোগ দেওয়া হবে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা
বিদেশি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব, মুডিসের প্রতিবেদন নিয়ে কী বলছেন গভর্নর
ঝালকাঠিতে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ
টেকসই কৃষি উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে: কৃষি সচিব
এসএমই খাতকে জাতীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ
বাংলাদেশ ও চীনের উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি অভিন্ন, ঢাকা-গুয়াংজু সহযোগিতার নতুন দিগন্তে
অন্তর্বর্তী সরকার যতোদিন আছে সারের কোনো সংকট হবে না এবং দামও বাড়বে না: কৃষি উপদেষ্টা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় পাশে থাকবে চীন: মজিবুর রহমান মঞ্জু
বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়াতে সিইপিএ চুক্তি চূড়ান্তের পথে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক আমদানি ২৬.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ