
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে সংগীত, নৃত্য ও যন্ত্রের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘প্রযোজনা ভিত্তিক কম্পোজিশন’।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় নৃত্যকলা কেন্দ্র ও সংগীত ভবন প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শুরুতেই দেশীয় ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সাথে ইলেকট্রিক বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে প্রযোজনা ভিত্তিক যন্ত্রসংগীত-এর কম্পোজিশন উপস্থাপন করা হয়। যন্ত্রসংগীত পরিবেশনায় ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্রশিল্পীবৃন্দ এবং পরিচালনায় ছিলেন জাবেদ আহমেদ কিসলু। এরপর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কণ্ঠশিল্পীরা পরিবেশন করেন কণ্ঠসংগীত-এর কম্পোজিশন ‘বাংলাদেশ : শুরু থেকে ২৪’। যেখানে গানে গানে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার বিজয়ের প্রেক্ষাপটগুলো তুলে ধরা হয়। পরিবেশিত গানগুলোর মধ্যে ছিল ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়’, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘বাঁধ ভেঙে দাও’ এবং ‘এক মহাকাব্য লেখা হলো’-এর মতো সাড়া জাগানো গানসমূহ।
সবশেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীরা রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলসংগীতের সমন্বয়ে প্রযোজনা ভিত্তিক নৃত্য কম্পোজিশন ‘আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ’ পরিবেশন করেন। নৃত্য পরিবেশনায় ধারাবাহিকভাবে পরিবেশিত হয় এস এম রাইহানুল আলম-এর পরিচালনায় রবীন্দ্রসংগীত এর ওপর নৃত্য ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’, মো. ইমদাদুল হক মিলনের পরিচালনায় নজরুলসংগীতের ওপর নৃত্য ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’, ইমন আহমেদের পরিচালনায় রবীন্দ্রসংগীতের ওপর নৃত্য ‘ওই মহা মানব আসে’ এবং শাহনাজ শারমিন অনন-এর পরিচালনায় নজরুলসংগীতের ওপর নৃত্য ‘চল চল চল’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫২:৫৩ ৯ বার পঠিত