
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাকে সোনারগায়েঁর মানুষ ভালোবাসে বলেই বিভিন্ন জায়গায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটাও আমার প্রতি তাদের বিশ্বাস ও ভালোবাসা। আমি কিছুদিন আগে আড়াইহাজারও গিয়েছিলাম, সেখানে লোকজনদের ক্যাম্পিং করে বলেছি এখানে বিএনপির মনোনিত প্রার্থীদের যেন তারা ভোট দেয়। আমরা বন্দর ও সদরও গেয়েছি। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দলের পক্ষ হয়ে কাজ করছি। দল কোথায় কাকে মনোনয় দেবে সেটা কেন্দ্রীয় নেতাদের উপর নির্ভর করে। আমাকে যদি পাঁচটি আসনের যে কোন একটা আসনে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি সেখান থেকে নির্বাচন করতে চাই। কারণ আমি আন্দোলন সংগ্রামে মানুষের সাথে ছিলাম। পালিয়ে যায় নি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে ভালোবাসে।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল্লাহ মাষ্টারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন।
তিনি আরও বলেন, আজ অন্য এক জায়গায় দাওয়াত ছিল, কিন্ত এখানের শামীম ভাইয়ের ডাকে হাবিবুল্লাহ মাস্টারের কথা শুনে সেই দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করে এখানে এসেছি। আমরা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যেখানে যাই সেখানে সভা করে হোক বা ব্যক্তিগতভাবেই রাজনৈতিক আলাপ করি। একজন মুক্তিযোদ্ধা সোনারগাঁ থানা বা সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করেনি, সমগ্র বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধ করেছে। মুক্তিযোদ্ধারা অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। প্রশাসনিক কারনে দেশকে বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা ও ওয়ার্ডে বিভক্ত করতে হলেও দেশ কিন্তু একটি। এরপর জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটি সে দেশের জাতীয় সংসদ। এ সংসাদের যিনি সদস্য সে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য। সে কিন্তু কোন এলাকার সংসদ সদস্য নয়। একজন সংসদ সদস্য হয়তো একটি এলাকা থেকেই নির্বাচনে পাশ করে কিন্তু সেই রিপ্রেজেন্ট করে সম্পূর্ণ বাংলাদেশকে। প্রশাসনিক বিভক্ত না করলে নারায়ণগঞ্জ নরসিংদীকে নিয়ে একটি মহাকুমা অঞ্চল ছিল। এরপর থেকে নারায়ণগঞ্জ নরসিংদীর বিভিন্ন জেলা হয়ে যায়।
সাবেক সংসদ সদস্য আরও বলেন, রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য থাকা উচিত তারা যেন দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করবে। কিন্তু যার এই উদ্দেশ্য নাই সে রাজনীতি না। সে একজন ভিন্ন প্রকৃতির লোক। ২০০১ সালে এই নারায়ণগঞ্জের মানুষ বিএনপির মনোনীত প্রার্থীকে ৫টি আসনে নির্বাচিত করেছেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার কারণে তিনবার সংসদ নির্বাচনে, মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। তাদের মনে এবার আশা চেপেছে তারা এবার নিজের ভোট অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করতে পারবেন। আমরা যারা নারায়ণগঞ্জে বসবাস করি, আমরা যেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিজয় করতে পারি সেই হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। একে অপরের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। আমরা কোন অংশকে বিভক্ত করি চিন্তা করবো না। মুক্তিযোদ্ধাকালীন সময় যখন আমি কমান্ডার ছিলাম তখন সোনারগাঁও মানুষ আমাকে জায়গা দিয়েছিল। সে থেকে আমি সোনারগাঁও মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি যখন হজ পালন করতে যাই তখন আমার সহকর্মীরা সোনারগাঁয়ে আমাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় বলে ফেস্টুন ব্যানার টানিয়েছে। আমি তাদের কথাগুলো মূল্যায়ন করি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, সোনারগাঁ থানা যুবদলের আহবায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ প্রধান, সনামন্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রমজান আলী সরকার, সোনারগাঁও থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, সোনারগাঁ থানা কৃষক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন, থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল প্রধান, নোয়াগাঁ ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আতাউর রহমান আপেল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক রবিন, শাদিপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি শাহ আলম, নোয়াগাঁ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শামীম।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৫:৫৫ ১১ বার পঠিত