
জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার অন্তর্গত সুবর্ণখালী নদীর বেড়িবাঁধ সড়কটি বর্তমানে একটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে, বিশেষ করে চকহাটবাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন মোড়টি এখন দুর্ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, যার ফলে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বেড়িবাঁধ সড়কটি নির্মাণের সময় ঝুঁকিপূর্ণ মোড়গুলোতে কোনো স্পিড ব্রেকার বসানো হয়নি এবং নদীর পাশেও কোনো রেলিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এর ফলে দ্রুত গতিতে আসা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, আহত হচ্ছেন মানুষ ও গবাদি পশু। বিশেষ করে শিশুরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল মিয়া জানান, সরিষাবাড়ী পৌরসভা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ত্রিশ বছর পর এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে পাকা বেড়িবাঁধ সড়ক নির্মিত হয়। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এখনও প্রকট। একসময় এটি কেবল একটি ভাঙাচোরা রাস্তা ছিল, কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় এটি এখন শহরের অন্যতম বাইপাস সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সড়কটি দিয়ে শুধু পৌরসভার কয়েকটি গ্রামের মানুষ নয়, পার্শ্ববর্তী কামরাবাদ ইউনিয়নের অন্তত পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ও কয়েক শত যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করে, যা এটিকে একটি ব্যস্ততম সড়কে পরিণত করেছে।
কৃষক আবুল হোসেন বলেন, সড়কে গতিরোধক ব্যবস্থা না থাকায় শিশুরা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এছাড়া বেড়িবাঁধের পাশ দিয়ে রেলিং না থাকায় দ্রুতগতির যানবাহন নদীতে পড়ে যাচ্ছে। এমনকি নদীতে নামার কোনো সুনির্দিষ্ট ঘাট না থাকায় উদ্ধার কাজেও বিপাকে পড়তে হয়।
এলাকাবাসী পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে অনতিবিলম্বে সুবর্ণখালী বেড়িবাঁধ সড়কের পাশে রেলিং স্থাপন এবং ঝুঁকিপূর্ণ মোড়গুলোতে স্পিড ব্রেকার বসানোর জোর দাবি জানিয়েছেন, যাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা যায় এবং সাধারণ মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪১:২০ ৭০ বার পঠিত