জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে যেন কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অভিযোগ তুলে মোনায়েম মুন্না বলেন, তরুণদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী আদর্শের জনপ্রিয়তা বাড়ছে দেখে একটি গোপন সংগঠন উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
মিটফোর্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেলেও তিনজনকে বাদ দিয়ে মামলায় অন্য তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এর পেছনে উদ্দেশ্য আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।
যুবদলের এই কেন্দ্রীয় সভাপতি বলেন, আমরা সবসময় দায়িত্বপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী, কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিই।
এ সময় খুলনায় যুবদল কর্মীকে রগ কেটে হত্যার ঘটনা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
মোনায়েম মুন্না বলেন, রগ কাটা রাজনীতির ইতিহাস একটি নির্দিষ্ট দলের। এসব ঘটনার পেছনে প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট দীর্ঘ দেড়যুগের অবর্ণনীয় নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুন, সোয়া লাখ গায়েবি মামলা, ইতিহাসের বর্বরতম ফ্যাসিবাদী নিষ্পেষণ থেকে দেশ, জাতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা মুক্তি লাভ করে জানিয়ে তিনি বলেন, এই দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ বিএনপির নেতাকর্মীরাই নিজেদের জীবন, ক্যারিয়ার, পরিবার, ব্যবসাসহ জীবন ও সম্পদকে বিপন্ন করে এক বর্বর ফ্যাসিস্ট একনায়কের বিরুদ্ধে মাঠের প্রতিরোধটুকু জারি রেখেছিল। তারা গুম, খুন, অপহরণসহ নানামাত্রিক বর্বরতার নির্মম শিকার হয়েও কখনও মাঠ ছেড়ে যায়নি।
যুবদল সভাপতি বলেন, গত জুলাইয়ের আন্দোলনেও আমরাই সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছি। সর্বমোট যে শহীদের তালিকা আমরা অদ্যাবধি পেয়েছি, তার প্রায় অর্ধেকসংখ্যকই আমাদের দলীয় নেতাকর্মী। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের সফলতার পর আমরা ক্রেডিটের নেশায় মোহগ্রস্ত না হয়ে, শহীদদের রক্ত নিয়ে ব্যবসা না করে স্বাভাবিক সাংগঠনিক কার্যক্রমে ফিরে গেছি।
দেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৫:১৭ ১৬ বার পঠিত