
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় আবারও কাঁপল ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর। একরাতেই ছোড়া হয়েছে ৬শ’র বেশি ড্রোন ও মিসাইল। নিহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। এছাড়া স্থল অভিযান চালিয়ে দোনেৎস্কের আরও একটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি করেছে মস্কো।
দিনে দিনে তীব্র হচ্ছে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। রোববারও (১৩ জুলাই) চেরনিভচি, লভিভ, খারকিভ ও সুমি অঞ্চলে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় পুতিন বাহিনী। ২৬টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ৬শ’টি কামিকাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয় বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এ হামলায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগের দাবি, অধিকাংশ রুশ ড্রোন ও মিসাইল তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
একইদিনে, দোনেৎস্ক অঞ্চলের মাইরনে গ্রাম দখলের দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এলাকাটি নিপ্রোপেত্রভস্ক সীমান্তে অবস্থিত। মস্কো জানায়, শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ভেদ করেই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। একইসঙ্গে আরও ছয়টি অঞ্চলে অভিযান অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী।
সপ্তাহজুড়ে চলা হামলার মধ্যেই একটি বড় কূটনৈতিক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে মস্কো। ২০২২ সালের জুলাইয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত কৃষিপণ্য রফতানি-বিষয়ক চুক্তি তারা আর নবায়ন করবে না। পশ্চিমা দেশগুলোর বীমা, পেমেন্ট ও লজিস্টিক বাধার কারণে এই চুক্তির পাঁচটি মৌলিক লক্ষ্য পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছে মস্কো।
এদিকে রুশ হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য নতুন সামরিক সহায়তার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ। ট্রাম্প প্রশাসন ৩৫০ কোটি ডলারের পুরনো বাজেট থেকে এই সহায়তা অনুমোদন করতে পারে বলে জানা গেছে। তারা প্রায় ৫০০ কোটি ডলারের ফ্রিজ করা রুশ সম্পদ ইউক্রেনে স্থানান্তরের সিদ্ধান্তও নিতে পারে।
ট্রাম্প এরমধ্যেই জানিয়েছেন, কিয়েভকে আরও প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠানো হবে।
রাশিয়ার বিষয়ে স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ জুলাই) একটি ‘বড় ঘোষণা’ দেবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে মস্কোতেও।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৬:২২ ১১ বার পঠিত