
সন্ত্রাস নির্মূবল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বির বলেন, “আমরা প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনার মাধ্যমে শুনতে পাই, যখন বিমানটি আঁচড়ে পড়ে, তখন কিছু শিশু এমনভাবে বিধ্বস্ত হয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে যে, এদেরকে শনাক্ত বা সংখ্যা নির্ণয় করার মতো বাস্তবতা নেই। কিন্তু তাদের জড়ো করে মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। এই যে কাঠামোগত হত্যাকা-, এই হত্যার দায় সরকারকে অবশ্যই নিতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) নারায়নগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে মাইলস্টোন-ট্র্যাজেডিতে নিহত ও আহতদের স্মরণে শোকগাথা ও আলোক প্রজ্বালন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
এক মিনিট নিরবতা পলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
রফিউর রাব্বির বলেন, “যে ঘটনা ২১ তারিখ ঘটল, এইযে এতোগুলো প্রাণ গেল। শিশু, পাইলট ও শিক্ষক হত্যার দায় কে নিবে? উচিত ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ ও নিহতের পরিবার বিমানবাহিনীর প্রধান এবং সরকার প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা তা বলে না। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এদের কোন অপরাধ আমরা প্রকাশ্যে বলতে পারি না। আমাদের নাগরিক অধিকার কি রয়েছে। এতো এতো জীবন ধ্বংস হয়ে গেল, আমরা বিচার চাইতে পারি না।”
তিনি আরও বলেন, “এই হত্যাকা- নিয়ে বিভিন্ন সময় গুজব শুনতে পারছি, আবার সত্যকে ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়ও লক্ষ্য করছি। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে ভুল ছড়িয়ে যাচ্ছে, এবং আমাদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে আসলেই মৃত্যুর সংখ্যা কত। গতকাল একটি জাতীয় পত্রিকায় দেখেছি নিহতের সংখ্যা ৩৫ জন, আজকে টেলিভিশনে শুনি ৩১ জন। এখানে লুকোচুরির তো কিছু নেই, আমাদের যা যাবার তা তো গেছেই।”
প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পোস্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এরকম একটি নৃশংসতা বর্বরতা ঘটনার পরে দেশের রাষ্ট্র প্রধান কি চাঁদাবাজিতে নামতে পারে? এই নৃশংসতা ঘটনার পরে যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা প্রয়োজন ছিল সরকার সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
এদেশে গত ৩৪ বছরে ৩২টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে বলেও উল্লেথ করেন তিনি।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনার কারণ উদঘাটনেরও দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৩:৩৬ ২৪ বার পঠিত