
গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন কর্মসূচির আওতায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার প্রায় দুই দশক ধরে চলে আসা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ফতুল্লার কাইয়ুম এলাকার একটি খাল পরিষ্কার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রায় ৯২ কিলোমিটার খাল রয়েছে। তার মধ্যে ১৭ কিলোমিটার অবৈধ দখলসহ নানা কারণে একেবারে ব্লক হয়ে গেছে।
পানি প্রবাহ বন্ধ হয়েছে। আর এই ১৭ কিলোমিটার খালের পানি প্রবাহ সচল রাখার লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ৯টি খালের ৫৬টি স্পটে প্রায় ১১ কিলোমিটার খাল উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ শহরের যতগুলো বড় সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে দুই দশকের সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। দীর্ঘদিন যাবত এই শহরের মানুষ জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত।
আমাদের কাছে এই অভিযোগ আসার পর আমার সহকর্মীদের নিয়ে পূর্ব লালপুর থেকে শুরু করে পাইওনিয়ার মসজিদ এবং ডিএনডির বাঁধগুলো পরিদর্শন করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরিদর্শনের পর একটি কমিটি গঠন করেছিলাম। তারা প্রতিবেদন দেওয়ার পর আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছিলাম। সেই সঙ্গে আমরা মন্ত্রণালয়কে বোঝাতে সক্ষম হই এবং আমাদের প্রকল্প অনুমোদন করে।
আমরা ব্লক থাকা ১৭ কিলোমিটার খাল উদ্ধার করব। পাশাপাশি খালগুলোকে পরিষ্কার করে মাছের অভয়ারণ্য করার পরিকল্পনা রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ৯টি খালের ৫৬টি স্পটে প্রায় ১১ কিলোমিটার খাল উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের অঙ্গীকার ছিল এই শহরের জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসব। নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে আমার অনুরোধ—খালগুলো উদ্ধারের পর ঘরের আসবাবপত্র ফেলে ভরাট করব না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, ফতুল্লা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদিয়া আক্তার, সিদ্ধিরগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবযানি করসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩৫:০৭ ৩১ বার পঠিত