
জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজাহার আলীর বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহলের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগান্ডার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ গ্রামবাসী।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে মাজালিয়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ডা. আজহারুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের মাস্টার, সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম, কৃষক নুরুল ইসলাম, আজমত আলী ও আলেয়া বেগমসহ অনেকেই সাংবাদিকদের কাছে আজাহার আলীকে একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করেন।
তারা বলেন, আজাহার আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাতা কার্ডের উৎকোচ নেওয়া এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করতেই কিছু পরনিন্দাকারী এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তারা জানান। গ্রামবাসী এসব প্রোপাগান্ডার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আজাহার আলী বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি কখনোই কারো কাছ থেকে কোনো ভাতা কার্ড বাবদ অর্থ নেইনি। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মিথ্যা অপপ্রচার। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই অপপ্রচারের সত্য উদঘাটনের দাবি জানাই।”
এদিকে, অভিযুক্তকারী বিধবা মাজেদা বেগমের কাছে আজাহার মেম্বারকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। তিনি বলেন, “আমি তার বিরুদ্ধে ইচ্ছে করেই মিথ্যা বলেছি। সে আমাকে বিধবা কার্ড করে দেবে বলে দুইবার কম্পিউটারে আবেদন করিয়েছে, কিন্তু এখনো আমি কোনো কার্ড পাইনি। তাই রাগ করে তার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার কথা বলেছি। আসলে আমি তাকে কোনো টাকাই দিইনি, আমি ভিক্ষুক মানুষ। এত টাকা কোথায় পাবো? আমি সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা বলেছি, আমি ভুল করেছি, এজন্য আমি ক্ষমা চাই।”
এই ঘটনায় আজাহার আলীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং মাজেদা বেগমের স্বীকারোক্তি পুরো বিষয়টিকে ভিন্ন মোড় দিয়েছে। গ্রামবাসীর দাবি, এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৭:০৭ ২৭৬ বার পঠিত