
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী দোসররা নানা জায়গায় ঘাপটি মেরে আছে, এমনকি বর্তমান প্রশাসনের মধ্যেও তারা রয়েছে। সুযোগ পেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে তারা কাজ করবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের আগে যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারে তাহলে এই নির্বাচন হবে অত্যন্ত বিপদজনক।’
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে রিকশা ও ভ্যান চালকদের মাঝে রেইনকোট বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ রোববার জিয়া পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে রেইনকোট বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান সভাপতিত্ব করেন।
রিজভী বলেন, ‘যারা রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা প্রত্যেকেই এটা দেখেছে। আজকে প্রশাসনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী দোসররা তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সেখানে বসে আছে এবং বিভ্রান্ত তৈরি করার জন্য তারা কাজ করছে।’
নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের ব্যাপারে অনেকেই কথা বলছেন। জুলাই সনদের জন্য যদি আইন সংশোধন করতে হয়, সংবিধান সংশোধন করতে হয় সেটা নির্বাচিত পার্লামেন্ট করবে। রাষ্ট্রের মূল নীতিমালা অপরিহার্য বিষয়। যদি মূল নীতিমালায় পরিবর্তন করতে হয় তাহলে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে।’
তিনি বলেন,‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আমরা যে অর্জন করেছি সেই অর্জন আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে। কারণ ১৫-১৬ বছর এক নিষ্ঠুর এবং দানবীয় সরকারের রোষানল, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মধ্যে এদেশের মানুষ দিন কাটিয়েছে, রাত কাটিয়েছে। সেই দুর্বিষহ দুঃস্বপ্ন যাতে আর না ফিরে আসে সেটার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করে ফ্যাসিবাদ শক্তি ফিরে আসার পথ যাতে সুগম না হয়। কারণ এই ১৫-১৬ বছরে জাতিকে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘সুখরঞ্জন বালি দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী কোন অপরাধী নয় দাবি করলেও শেখ হাসিনা জোর করে সুখরঞ্জনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাকে দেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছিল।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য জ্বালাও-পোড়াও করে। আবার ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা নিজেই তা বাতিল করেছে। এমন দ্বিচারিতার উদাহরণ হচ্ছে শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্য বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জিয়া পরিষদের সদস্য সচিব ড. এমতাজ হোসেন এবং জিয়া পরিষদের ইউকে শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যরিস্টার রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
ব্যরিস্টার রেজাউল করিম বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। আজকের এই উদ্যোগও ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই।’
এসময় তিনি জনকল্যাণ ও মানবিক কাজের মাধ্যমে দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করার কথা বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৮:২২ ২৮ বার পঠিত