জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় জুয়ার আসর থেকে দুই যুবককে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ায় স্থানীয় সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া গাবতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পিংনা নরপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে দুলাল মিয়া প্রায় দেড় মাস ধরে বিভিন্ন স্থানে জুয়ার আসর বসিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আমিনুল ইসলাম ও এএসআই বিপ্লব এর নেতৃত্বে ছয়জনের একটি দল বুধবার রাতে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেক জুয়াড়ি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে গেলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
অভিযানের সময় পুলিশ আল-আমিন (ভেন্ডার) ও রফিকুল ইসলাম নামে দুই যুবককে আটক করে। অভিযোগ উঠেছে যে তাদের রাধানগর সানসেট পয়েন্ট এলাকায় নিয়ে গিয়ে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে আল-আমিন অভিযোগ করেন, তিনি জুয়া খেলছিলেন না এবং বাড়ি ফিরছিলেন। পুলিশ তাকে জুয়াড়ি সন্দেহে আটক করে গাড়িতে তোলে। তিনি দাবি করেন, পুলিশ তার কাছ থেকে ভূমি খারিজের জন্য রাখা ৫ হাজার টাকাসহ মোট ৩১,৫০০ টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
অন্যদিকে, বাশুরিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পুলিশ তার কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করেন এবং এ বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ জানান।
পুলিশের এই অভিযানে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে স্বস্তি প্রকাশ করলেও, আটককৃতদের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ায় অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তাদের মতে, জুয়াড়িরা পার পেয়ে যাওয়ায় এই ধরনের অপরাধ বন্ধ হবে না, বরং আরও বাড়বে। এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৩:২৭ ৩৪ বার পঠিত