দেশে অদৃশ্য শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে : তারেক রহমান

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » দেশে অদৃশ্য শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে : তারেক রহমান
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫



দেশে অদৃশ্য শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে : তারেক রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশ থেকে স্বৈরাচার পালালেও একটি ‘অদৃশ্য শক্তি’ ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।’

আজ শনিবার কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তারেক রহমান এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ বিনষ্ট করতে সেই অশুভ শক্তির অপতৎপরতা সাম্প্রতিক ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘পতিত পরাজিত, পলাতক স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে হাঁটছে তখন কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে তাদের দলীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নানা শর্ত আরোপ করছে এবং এই শর্ত আরোপ করে নির্বাচনের পথে পরিকল্পিত উপায়ে বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে বলে বহু মানুষ এরই ভিতরে ভাবতে শুরু করেছেন।’

যেকোন মূল্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে ধানের শীষের যত নেতাকর্মী আছে, যারা আজও গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, আমাদের সামনে একটি লক্ষ্য থাকতে হবে। আমাদের যে কোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যদি আমরা ইস্পাত কঠিন ঐক্য ধরে রাখতে পারি, তবে জনগণের রায় ধানের শীষের পক্ষেই আসবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন আর বসে থাকার সময় নেই। আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট-জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে আর সময় নষ্ট করার সুযোগ নেই। দেশের মানুষকে তার ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে সবাইকে সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকতে হবে। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’

কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে- সে বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের সচেতেন থাকার নির্দেশ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষকে, শহীদ জিয়া এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রত্যেকটি সৈনিককে অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে, এই দলের নাম ব্যবহার করে তাদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে জনগণের মধ্যে আমাদের সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে- এই ব্যাপারে প্রত্যেককে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

দেশের সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও আড়াই বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল। সে কারণে দেশের সংস্কার নিয়ে কারো সঙ্গে বিএনপির কোনো মতভিন্নতা বা আপত্তি নেই। তবে সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে হবে জনগণের রায়ে।

গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে অবশ্যই। তবে জনগণের অধিকার চর্চা এবং প্রয়োগের পথ সৃষ্টি না করে কোনো সংস্কারকেই টেকসই করা যাবে না। পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের অভিপ্রায়ের সরকার। তবে, এই সরকারের কাছে অবশ্যই একটি দক্ষ এবং জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক সরকারের মতন পারফরম্যান্স আশা করা কোনো যৌক্তিক কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।’

ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির ঐক্যকে দুর্বল করা যাবে না উল্লেখ করেন তারেক রহমান বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হলে পলাতক অপশক্তির পুনরুত্থানের প্রাসঙ্গিকতা তৈরি করবে। অতএব এখনো সময় আছে আমাদের সতর্ক হওয়া দরকার। পরাজিত পলাতক অপশক্তি কিন্তু সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে রয়েছে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচারের মতো বিএনপির বিজয় ঠেকানোর অপরাজনীতির পরিবর্তে- আসুন, সকলে মিলে আগে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার গঠন করি। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর আরও সকল যৌক্তিক দাবিগুলোর সমাধানের পথ খুঁজি। রাষ্ট্র রাজনীতিতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শর্ত শিথিল করে নির্বাচনের পথে হাঁটাই এখন সময়ের দাবি। জনগণের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচন কেন্দ্রিক গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে যাতে আমরা রাষ্ট্র এবং সমাজে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি।’

এর আগে জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলন শুরু হয়। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা স্টেডিয়ামে সমবেত হন। কয়েক হাজার কর্মীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয় সম্মেলন।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। প্রধান বক্তা যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৪:২০   ১৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


এত আত্মবিশ্বাসী হলে নির্বাচনে আসেন না কেন: জামায়াতকে সালাহউদ্দিন
কোনো ষড়যন্ত্র বিএনপির বিজয় ঠেকাতে পারবে না : দুলু
তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে: এ্যানি
জনগণের ওপর পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেবেন না : জাহিদ হোসেন
দেশে মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ ৭৯.৬ মার্কিন ডলার
দেশে কেউ সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু নয় আমরা সবাই গর্বিত বাংলাদেশি : মীর হেলাল
উদ্ধার করা ২৩ একর জমিতে গড়ে উঠবে দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক
মহানগরের প্রতিটি পূজামণ্ডপে নজরদারি নিশ্চিত করব: অ্যাড সাখাওয়াত
দেশে অদৃশ্য শক্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে : তারেক রহমান
তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করাই সরকারের লক্ষ্য : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ