
শারদীয় দুর্গাপূজাকে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন নিশ্চিত করতে জেলার সব মন্দির নির্বাহী অফিসারদের সরেজমিনে পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, “এই দুর্গাপূজা যেন উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বসবাস করি। প্রতিটি নির্বাহী অফিসার জেলার সব মন্দির ঘুরে দেখবেন। মন্দিরগুলোকে সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও প্রতিটি মন্দিরে বিশেষ নজরদারি চালাবে। প্রতিমা তৈরির শুরু থেকেই মণ্ডপে বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে, যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি মন্দিরকে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা পরিষদ থেকেও আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। পূজা বিসর্জনের সময় বিশেষ করে ৫ নম্বর ঘাটে প্রায় ৪০টি মণ্ডপ অংশ নেবে। তাই সিটি করপোরেশন ও বিআইডব্লিউটিএকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘাটের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিসর্জন সড়ককে হকারমুক্ত ও নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করবেন।”
এছাড়াও তিনি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, “চাষাঢ়া থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সড়ক আলোকিত ও পরিস্কার করা হয়েছে। দুই পাশে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে এবং পুরো সড়কটি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। বিদেশের উন্নত রাস্তার মতো করার জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মোহাম্মদ মুশিউর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সমীর বিশ্বাস, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায়কারী (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুসাইন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষার জেলা কমান্ড্যান্ট কানিজ ফারজানা শান্তা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১০:১৬ ৯ বার পঠিত