
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ১৫০ জন পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এ জন্য ইইউ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইইউয়ের প্রাক-নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটা ডেলিগেশন আমাদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন।
ওনারা এসেছিলেন একটা অ্যাসেসমেন্ট টিম আমাদেরকে মূলত কয়েকটা জিনিসের ব্যাপারে ক্লারিফিকেশন চেয়েছেন। ক্লারিফিকেশনটা হচ্ছে যে ওরা একটা এমওইউ করবেন আমাদের সঙ্গে। ফরেন মিনিস্ট্রি আমাদের সঙ্গে এবং ইইউ একটা ত্রিপাক্ষিক এমওইউ হবে। যে এমওইউর ধারাবাহিকতায় ওনাদের প্রতিনিধি দলরা আসবেন।
আমরা জানতে চেয়েছিলাম যে মোটামুটিভাবে আপনাদের প্রতি দলের সদস্য সংখ্যা কত হবে? তো আমাদেরকে যেটা ধারণা দিয়েছেন সেটা হচ্ছে ১৫০ জনের মতো।
ইসি সচিব বলেন, ইইউয়ের প্রাক-নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিনিধিরা জানতে চেয়েছেন, পর্যবেক্ষকরা ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন কী না।
১৫০ জন পর্যবেক্ষকদের সবাই একসঙ্গে আসবেন না বলেও জানিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন সময় আলাদা আলাদাভাবে ইইউয়ের পর্যবেক্ষকরা দেশে আসবেন।
গেজেট নোটিফিকেশন পাবলিকেশন পর্যন্ত তারা থাকতে চায়, আমরা কিভাবে রেজাল্ট পাবলিশ করি এবং এই রেজাল্টের তথ্যগুলো আমাদের ওয়েবসাইটে থাকে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি কথা হয়েছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকের জন্য কেন এমওইউ প্রয়োজন হচ্ছে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ বলেন, তারা বলেছেন এটা ওনাদের এসওপি, সে অনুযায়ী আমাদেরকে এমওইউ এর একটা খসড়া দিয়ে গেছে।
আগে কি কখনো হয়েছে জানতে চাইলে আখতার আহমেদ, আগে আমি নির্বাচন কমিশনে কাজ করিনি অতএব আমার পূর্বঅভিজ্ঞতা নেই।
এমওইউয়ের খসড়ায় কি লেখা আছে প্রশ্নে সচিব বলেন, একটা জিনিস বোঝা উচিত, তিন মিনিট আগে এমওইউয়ের খসড়াটা পেয়েছি আমার স্মৃতিশক্তি এত ভালো না যে আমি এই জিনিসটাকে ফটোগ্রাফিক মেমোরি থেকে আপনাকে বলতে পারব। আমাকে একটু শ্বাস নেওয়ার জন্য সময় দেন।
আমার সীমাবদ্ধতার জন্য ক্ষমা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৫:৫৩ ১৪৫ বার পঠিত