
গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন, শান্তি অর্জনের জন্য ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছে তারা।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধের জন্য ২০-দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
এই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া, হামাসের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ এবং উপত্যকাটি পরিচালনার জন্য একটি টেকনোক্র্যাটিক, অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন।
ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা এক প্রেসিডেন্সি বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পের আন্তরিক ও দৃঢ় প্রচেষ্টাকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বাগত জানায় এবং শান্তির পথ খুঁজে বের করার তার ক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখে।’
প্রেসিডেন্সি বিবৃতিতে, আঞ্চলিক শান্তি অর্জনে ওয়াশিংটনের সাথে অংশীদারিত্বের গুরুত্বের উপর জোর দেয়া হয় এবং একটি বিস্তৃত চুক্তির মাধ্যমে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আঞ্চলিক রাষ্ট্র এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য ফিলিস্তিনের যৌথ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।
বিবৃতি অনুসারে, গাজায় পর্যাপ্ত মানবিক সাহায্য সরবরাহ, ইসরাইলি জিম্মি এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলিদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার নিশ্চিত করার জন্য একটি বিস্তৃত চুক্তি প্রয়োজন বলে জানানো হয়।
এটি পূর্ব জেরুজালেমসহ গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর একীকরণ নিশ্চিত করবে। দখলদারিত্বের অবসান ঘটাবে এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির পথ উন্মুক্ত করবে। যেখানে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বৈধতা অনুসারে নিরাপত্তা, শান্তি এবং প্রতিবেশীসুলভ পরিবেশে ইসরাইল রাষ্ট্রের পাশাপাশি বসবাস করবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস ইসরাইলে হামলা চালানোর পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় অব্যাহত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল এ পর্যন্ত ৬৬,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এই অবিরাম বোমাবর্ষণ উপত্যকাটিকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে এবং দুর্ভিক্ষের দিকে পরিচালিত করেছে।
সূত্র: আনাদোলু
বাংলাদেশ সময়: ১৪:০৫:৫৫ ১৪১ বার পঠিত