
আওয়ামী লীগের ১৭ বছরে গুমের নির্দেশদাতা হিসেবে প্রধান আসামি করা হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এ সপ্তাহেই গুমের কয়েকটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ইসলাম।
সোমবার (০৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, এছাড়াও হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। পালিয়ে থেকে বিচার এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এদিন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১৪ অক্টোবর।
বিরোধী মত দমনে জোরপূর্বক গুম, অপহরণ, ক্রসফায়ারে হত্যা ছিলো আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। গুম কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ১৭ বছরে সাড়ে ৩ হাজার মানুষকে গুমের তথ্য এসেছে ট্রাইব্যুনালের তদন্তে কমিটির কাছে বলেও জানান তিনি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গুমের ঘটনায় একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে জড়িতদের বিচার দাবি জানিয়ে আসছেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা এ কথা জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর জানান, এ সপ্তাহেই কয়েকটি গুমের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাবেন তারা। আর গুমের নির্দেশদাতা হিসেবে প্রধান আসামি করা হচ্ছে শেখ হাসিনাকে।
এদিন শেখ হাসিনার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীরকে জেরা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। আর ট্রাইব্যুনাল-২ এ হয় আবু সাঈদ হত্যা মামলার নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৩:১৬ ১৫৮ বার পঠিত