
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে বিএনপি সবার জন্য কল্যাণকর তথা সর্বজনীন দল। বিএনপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না, বরং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাজে শান্তি, নৈতিকতা বিস্তার ঘটাতে চায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সদরের জেলা পরিষদ ডাকবাংলো চত্বরে দুর্গাপূজার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দুর্গাপূজা ও লক্ষীপূজা পরবর্তী এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেন।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ধোবাউড়ার হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়াও উপজেলা, ইউনিয়ন, পূজামণ্ডপের পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়, আড্ডা, গান, আবৃত্তি, শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জমজমাট ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজন যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
ধোবাউড়ার ইতিহাসে প্রথম এ ধরনের আয়োজন করায় অভ্যাগত অতিথিরা এমরান সালেহ প্রিন্সকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স সবাইকে স্বাগত ও বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে জনগণ একে অপরের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবে অংশ নেয়, এটাই বাংলাদেশী জাতির ঐতিহ্য।
তিনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এই ঐতিহ্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন। অতীতে আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাংক বিবেচনায় নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অপব্যবহার করতে চেয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ লাভবান হলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চরম ক্ষতি হয়েছে।
প্রিন্স বলেন, বিএনপির নীতি ‘ধর্ম-দল-মত যার যার, রাষ্ট্র হবে সবার’।
প্রিন্স আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ার ডাক দিয়েছেন।
‘ডাক দিয়েছেন তারেক ভাই- ঘরে থাকার সময় নাই’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক রহমানের দৃষ্টিজুড়ে বাংলাদেশ। তিনি পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন, জনগণকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। এই স্বপ্ন শুধু তারেক রহমানের নয়, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার। আসুন, এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে হাতে হাত ধরে অমরা এগিয়ে যাই, তারেক রহমানের হাত ধরে চির অবহেলিত ধোবাউড়াকে ‘আলোকিত ধোবাউড়া’ গড়ে তুলি। যেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি ঘর শিক্ষা, ধর্ম, সংস্কৃতি, সম্প্রীতি, মানবিকতার আলোয় আলোকিত হবে, বেকারত্বের অভিশাপ থেকে প্রতিটি পরিবার মুক্তি পাবে, কৃষক, শ্রমিকসহ মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। নারী ফুটবলারদের প্রশিক্ষণসহ ক্রীড়া, সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতাদের মধ্যে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মানিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, সনাতনী সম্প্রদায়ের নেতাদের মধ্যে সুভাষ সাহা, নারায়ণ হাজং, মিনতী শীল, আশীষ সাহা, বিপুল চন্দ্র সেন বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৬:৫৭ ২০ বার পঠিত