
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে লাগা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলছেন, ভেতরে খোপ খোপ করা ঘর ছিল। এগুলো ফেস করে আগুন নেভাতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বিমানবন্দর এলাকায় ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। তবে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন শুধু নির্বাপণ কাজ চলছে। আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ না হওয়া পর্যন্ত কাজ চলবে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, ৪৫০ সদস্য আগুন নেভাতে কাজ করেছে। এখনও পর্যন্ত কোনো নিহত নেই। ফায়ার সার্ভিসের ২ জন কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া, বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার মুনতাসীর আহত হয়েছেন। তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন,
বাতাসের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। ভেতরে খুপরি ঘর করা। এগুলো ফেস করে আগুন নেভাতে কাজ করতে হয়েছে। তাই আগুন নেভাতে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। কিছু কিছু নীল ড্রাম দেখেছি। তবে এখনই বলা যাবে না সেগুলোতে কেমিক্যাল ছিল কিনা।
তিনি আরও বলেন, সব কিছু বিষয় বিবেচনা করে তদন্ত করা হবে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ঠিক আছে কিনা এসব যাচাই-বাছাই করা হবে।
এদিন, দুপুরে বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন আমদানি পণ্য রাখার স্থান কার্গো সেকশনে আগুন লাগার পরপরই নেভাতে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের একের পর এক ইউনিট। যুক্ত হয় সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর ইউনিটও। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ২৫ আনসার সদস্য। তাদেরকে সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের পর দেশের প্রধান বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ঢাকায় নামতে না পেরে অন্য বিমানবন্দরে গেছে এক ডজনের বেশি ফ্লাইট। রাত ৯টায় বিমান চলাচল ফের শুরু হয়।
পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা। শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে সাধারণত তুলনামূলক কম ওজনের যন্ত্রপাতি, পচনশীল ও ইলেকট্রনিকস পণ্য আমদানি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৪:০৭ ২৩ বার পঠিত