
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)’র নবনিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স তুনিওন বাংলাদেশের সরকার ও সামাজিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে শোভন কর্মসংস্থান, সামাজিক ন্যায়বিচার ও টেকসই বিনিয়োগ সুযোগ বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা শুধু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য আরও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত নয়, বরং দেশের বিনিয়োগ আকর্ষণের সক্ষমতাও বাড়াবে।’
আজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাছে পরিচয়পত্র পেশের পর তুনন এ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
নবনিযুক্ত আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর জোর দেন, যা মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে শোভন কর্মসংস্থানের এজেন্ডা এখন অত্যন্ত জরুরি। প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। তাই আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।’
আইএলও বাংলাদেশ সরকার ও এর ত্রিপক্ষীয় অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে শ্রম আইন পর্যালোচনা ও সংশোধন, শ্রম অধিকার, পেশাগত নিরাপত্তা এবং আইন প্রয়োগে কারিগরি ও নীতিগত সহায়তা দিয়ে আসছে।
সংস্থাটি পুরুষ ও নারীদের কর্মসংস্থানের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে, চাকরি সংক্রান্ত দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে একটি সহায়ক ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তুলছে বলে আইএলও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ঢাকায় দায়িত্ব নেওয়ার আগে তুনিওন দোহায় আইএলও অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখানে তিনি কাতারে একটি বিস্তৃত শ্রম সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করেন।
এর আগে তিনি মজুরি, শ্রম পরিদর্শন এবং পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচির টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজ করেন।
তিনি ব্যাংকক, নয়াদিল্লি ও বেইজিংসহ আইএলওর বিভিন্ন অফিসে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং শ্রমনীতি, সামাজিক সুরক্ষা ও বৈশ্বিক কর্মসংস্থান মানদণ্ড বিষয়ে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
আইএলও সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শোভন কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারে সহায়তা করে, বিশেষ করে এটি প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে থাকে।
বাংলাদেশে আইএলওর সহায়তা ‘ডিসেন্ট ওয়ার্ক কান্ট্রি প্রোগ্রাম’ (ডিডব্লিওসিপি) -এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। এটি ন্যায্য, নিরাপদ ও টেকসই শ্রমচর্চা প্রচারের লক্ষ্যে সরকার, নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:০৩:৪৩ ১৭ বার পঠিত