
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো ও গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে জাতীয় পে কমিশনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় পে কমিশনের সভাপতির সঙ্গে দেখা করে ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করে ইউট্যাব।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে ইউট্যাবের একটি প্রতিনিধিদল পে কমিশনের কার্যালয়ে যান। পরে তারা পে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান, সদস্য অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান এবং খণ্ডকালীন সদস্য অধ্যাপক ড. সামছুল আলম ভূঁইয়ার হাতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ড. এসএম হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আলী জিন্নাহ, অধ্যাপক আসলাম হোসেন, ড. মো. নুরুল আমিন, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
ইউট্যাবের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ আপনার নিকট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র উচ্চতর বেতন কাঠামো প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবৃন্দ দেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গঠনের মূল ভিত্তি। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও মেধার দ্বারা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ও গবেষণা পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে।
কিন্তু বর্তমান বেতন কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মর্যাদা ও অবদান যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। এর ফলে মেধাবী তরুণরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে অনাগ্রহী হচ্ছেন এবং অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষক বিকল্প কর্মক্ষেত্রে যোগদানের চেষ্টা করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আপনার সদয় বিবেচনায় আমাদের এই দাবিসমূহ বাস্তবায়িত হলে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে, গবেষণা সমৃদ্ধ হবে এবং জাতি দীর্ঘমেয়াদে এর সুফল ভোগ করবে।
এ সময় তারা পাঁচ দফা দাবি জানান।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র, মর্যাদাপূর্ণ ও উচ্চতর বেতন স্কেল প্রবর্তন (ন্যূনতম সার্কভুক্ত দেশসমূহের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনের সঙ্গে তুলনা করে), আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গবেষণা ভাতা প্রদান, গবেষণালব্ধ জ্ঞান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতরণের নিমিত্ত কনফারেন্স/সেমিনারে (প্রতিবছর ন্যূনতম একটি আন্তর্জাতিক ও একটি জাতীয় পর্যায়ে) অংশগ্রহণের জন্য ভ্রমণ/টিএ, ডিএ ও অন্যান্য ভাতা প্রদান করা।
এ ছাড়া গবেষণা ও প্রকাশনার কাজে উৎসাহিত করতে বিশেষ গবেষণা প্রকাশনা প্রণোদনা ভাতা (উন্নত জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশনার জন্য প্রণোদনা) প্রদান, দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষকতা পেশায় স্থিতিশীলতা আনতে ও শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে পর্যাপ্ত আর্থিক (যেমন : অধ্যাপকদের বিনা সুদে গাড়ি ও ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদান) ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৪:৫১ ৮ বার পঠিত