
জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের চার বছর বয়সী শিশু মুসলিমা জন্ম থেকেই এক কঠিন জীবন সংগ্রামে লিপ্ত। দরিদ্র ভ্যানচালক বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম ও মা বিনা খাতুনের এই শিশুকন্যাটির মাথা জন্ম থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে শুরু করেছে, যা তাকে স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে বহু দূরে ঠেলে দিয়েছে। চিকিৎসার অভাবে তার মাথার আকার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, জন্মের পর মাথার এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেলেও চরম দারিদ্র্যের কারণে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। বাবা মঞ্জুরুল ইসলামের দৈনিক সামান্য রোজগারে কোনোমতে পরিবারের খাবার জোটানোই কঠিন। তিনি অসহায় কণ্ঠে বলেন, “মেয়েকে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য আমার নেই।”
গতকাল, রবিবার (২৬ অক্টোবর), মুসলিমাকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি সম্ভবত ‘হাইড্রোসেফালাস’ (মস্তিষ্কে অতিরিক্ত তরল জমা) নামক জটিল জন্মগত সমস্যায় ভুগছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব হলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং দীর্ঘমেয়াদি।
চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত শিশুটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) বা ঢাকা শিশু হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু আর্থিক অক্ষমতার কারণে অসহায় এই পরিবারটি এখন সরকারের সহায়তা ও সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের করুণার দিকে চেয়ে আছে।
গ্রামবাসীসহ সচেতন মহল মানবিক কারণে শিশু মুসলিমার জীবন বাঁচাতে এবং তার মুখে হাসি ফোটাতে সমাজের সকল হৃদয়বান ব্যক্তি, মানবাধিকার ও সমাজসেবী সংগঠনগুলোর কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৪৯:০০ ৪৮ বার পঠিত