
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সকল রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে জুলাই সনদ হয়েছে। অথচ সেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে তালবাহানা চলছে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে প্রয়োজনে গণভোট দিতে হবে এবং সেটা অবশ্যই নির্বাচনের আগে। কোনো দল ক্ষমতায় গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবে সেটা হবে বিরাট এক শুভঙ্করের ফাঁকি।
গতকাল শনিবার রাতে বাবুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক জনসভা এবং ওয়াজ-মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় চরমোনাই পীর আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার একটি দল। এই দলের কেউ চাঁদাবাজি করে না। দখলবাজি করে না। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে না। পরের হক নষ্ট করে না। পার্সেন্টেজ-কমিশন খায় না। গত ৫৩ বছর দেশে যে অশান্তির আগুন জ্বলেছে সেই আগুন নেভাতে পারে একমাত্র শান্তির হাতপাখা। শান্তির বাতাসে স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নিতে চাইলে হাতপাখায় ভোট দিতে হবে। আগামী নির্বাচনে বরিশাল-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা মার্কার প্রার্থী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম নির্বাচিত হলে পার্সেন্টেজমুক্ত, চাঁদাবাজি-দখলবাজিমুক্ত হবে বাবুগঞ্জ-মুলাদী উপজেলা। এখানে সবাই জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচন দাবিতে আয়োজিত ওই জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল-৩ আসনের মনোনীত প্রার্থী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম।
জনসভায় প্রধান বক্তার ভাষণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে মনোনীত প্রার্থী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের মোট ৯১টি দেশে সংখানুপাতিক নির্বাচন (পিআর) পদ্ধতি চালু আছে। বিশ্বের উন্নত ৩৪টি দেশের মধ্যে ২৫টি দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়। অথচ আমাদের দেশে পাঁচবার ক্ষমতায় থাকা একটি দলের নেতারা নাকি পিআর পদ্ধতি বোঝেন না! কেন বোঝেন না? কারণ পিআর বুঝলে তাদের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার নামে হাজার হাজার কোটি টাকার নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলবাজি বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতিতে মানুষ কোনো ব্যক্তিকে নয়, দলকে ভোট দেয়। যারা আজ পিআর বোঝেন না, তারা ১৯৯৬ সালে নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকারও বুঝতেন না। ১৫ ফেব্রুয়ারি একদলীয় নির্বাচন করেছিলেন। ক্ষমতা হারানোর পরে আবার কেয়ারটেকার সরকারের জন্যেও আন্দোলন করেছিলেন। সেভাবে আজ যারা পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন, ভবিষ্যতে তাদেরও পিআর চালুর জন্য আবার আন্দোলন করতে হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে দেশে আবার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৩:২৫ ৮ বার পঠিত