ইন্টার মায়ামিকে লিড এনে দেওয়া লিওনেল মেসির গোলটি আলোচনায় থাকার দাবিদার। প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দৌড়ে যান, ডি বক্সের একটু বাইরে থেকে করা গোলটি গোলকিপারসহ পাঁচজনকে ফাঁকি দিয়ে। কিন্তু আলোচনায় মেসির রেকর্ড ও মায়ামির প্রথমবারের মতো এমএলএস প্লেঅফের সেমিফাইনালে উঠার প্রসঙ্গ।
![]()
প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে নাশভিলেকে ৪-০ গোলে হারানোর ম্যাচে মেসি জোড়া গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন। মায়ামি প্রথমবারের মতো উঠেছে এমএলএসের প্লেঅফের সেমিফাইনালে। গত মৌসুমে বাদ পড়েছিল প্রথম রাউন্ড থেকে, আর ২০২৩ মৌসুমে তো প্লেঅফে উঠাই হয়নি।
সেমিফাইনালে মায়ামি খেলবে এফসি সিনসিনাটির বিপক্ষে। ২২ কিংবা ২৩ নভেম্বর ওই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। ইস্টার্ন কনফারেন্সের আরেক সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন ও নিউইর্য়ক সিটি।
শেষ গোলে অ্যাসিস্ট দিয়ে মেসি ব্যক্তিগত একটি রেকর্ড গড়েছেন। পেশাদার ক্যারিয়ারে ৪০০ অ্যাসিস্টের মাইলফলকে পৌঁছলেন তিনি। একটিভ খেলোয়াড়দের মধ্যে তার চেয়ে বেশি আর কারো অ্যাসিস্ট নেই। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, সর্বোচ্চ ৪০৪ অ্যাসিস্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদের প্রয়াত ফুটবলার ফেরেঙ্ক পুসকাস। সে হিসাবে বিশ্বরেকর্ড গড়তে মেসির দরকার আর ৫ অ্যাসিস্ট।
চেজ স্টেডিয়ামে ১০ মিনিটের মাথায় মেসি গোলটি করেছিলেন প্রতিপক্ষের পাস থেকে বল পেয়ে। পরের গোলটিও তার, ৩৯ মিনিটে লম্বা করে বল উড়িয়ে মেরেছিলেন জর্দি আলবা। নাশভিলের এক খেলোয়াড় বল ছুঁতে ব্যর্থ হলে পেয়ে যান মাতেও সিলভেতি। ডি বক্সে ঢুকে ফাঁকা দিয়ে এগিয়ে আসা মেসির দিকে বল বাড়িয়ে দেন, গোলরক্ষক এগিয়ে যাওয়ায় অনায়াসে গোল করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
তৃতীয় গোলটি করেন তাদেও অ্যালেন্দে। অ্যালেন্দেকে পরের গোলে অ্যাসিস্ট করে রেকর্ড গড়েন মেসি। অনেকটা মাঝমাঠ থেকে ফাঁকা দিয়ে বল বাড়িয়ে দেন তিনি, অ্যালেন্দে গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করে জোড়া গোল পূর্ণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০০:১৮ ২১ বার পঠিত