![]()
জামালপুর প্রতিনিধি : সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের বিপুল বরাদ্দ পাওয়ার পরও শুধুমাত্র প্রকল্পের তালিকা জমা না দেওয়ার জটিলতায় জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ১১নং চরপুটিমারী ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও উন্নয়ন কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নবাসী।
উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্যে চরপুটিমারী ইউনিয়নের জন্য বড় অঙ্কের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পে ১২ লাখ ১৪ হাজার ৮০ টাকা, টিআর (টেস্ট রিলিফ) প্রকল্পে ৮ লাখ ৯৭ হাজার ১৫৯ টাকা এবং খাদ্যশস্য প্রকল্পে ৭ দশমিক ২৪০ মেট্রিক টন চাল ও ৭ দশমিক ২৪০ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ সময়মতো প্রকল্পের তালিকা উপজেলা অফিসে জমা না দেওয়ায় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ও খাদ্যশস্যের উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার মানুষ।
প্রকল্পের তালিকা জমা না দেওয়ার কারণ অনুসন্ধানে ইউনিয়ন পরিষদের দুই নেতার বক্তব্য উঠে এসেছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার অভিযোগ করেন, “১১টি প্রকল্পের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি ৮টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। পরিষদে মাত্র ৩টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। তাদের (বিএনপির) নেওয়া প্রকল্পের তালিকা জমা না দেওয়ায় আমি উপজেলা অফিসে জমা দিতে পারিনি।”
অন্যদিকে, ১১নং চরপুটিমারী ইউনিয়ন বিএনপির (উত্তর) শাখার সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান মিয়া বলেন, “উপজেলা থেকে তালিকা জমা দেওয়ার সময়ের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আগামী রবিবারে এটি জমা দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরে এ শেফা জানান, “চরপুটিমারী ইউনিয়নকে তালিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই সময়ে তালিকা জমা না দেওয়ায়, চরপুটিমারী ছাড়া অন্য সব ইউনিয়নের প্রকল্পের তালিকা জেলা অফিসে পাঠানো হয়েছে।”
অন্যদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুর রহমান আশ্বাস দিয়েছেন, “এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বাংলাদেশ সময়: ২০:৪৬:৫৭ ৪৪ বার পঠিত