
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার বলেছেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসডিজি স্থানীয়করণে সব অংশীদারকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ আয়োজিত এসডিজি স্থানীয়করণ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নে সরকার ইতোমধ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষকে এসডিজির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এসডিজি’র স্থানীয়করণের উপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এসডিজি স্থানীয়করণের প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর চাহিদাকে সামনে নিয়ে আসা এবং সে আলোকে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। স্থানীয় সংস্কৃতি, পারিপার্শ্বিকতা ও চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এসডিজি স্থানীয়করণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যেককে নিজের কাজের জবাবদিহি করতে হবে। সম্পদ ও সুযোগের সীমাবদ্ধতার মাঝেই আমাদের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে সফলতা অর্জন সম্ভব। এসময় তিনি এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সিলেটে পতিত জমি শতভাগ আবাদ, চা বাগানের শিশুদের শতভাগ শিক্ষার আওতায় আনা এবং পর্যটক বাড়াতে রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী ও সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসডিজি সেলের ডেপুটি ডিরেক্টর ও ফোকাল পয়েন্ট মো. আলমগীর হোসেন এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:২৮:৫৮ ৬ বার পঠিত