
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ প্রশাসনে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শুরু করেছে বাংলাদেশ। দেশের প্রশাসনিক ও আইনগত কাঠামোতে সংস্কার চলছে, তবে বাস্তব পরিবর্তন আনতে সময়, ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য।
উপদেষ্টা আজ সাভারের ব্র্যাক সিডিএম-এ অনুষ্ঠিত ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ ইন্টারন্যাশনালের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ১১ দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৬২ দেশের ৮৫ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রশাসন ও আইনি কাঠামো দু’টোকেই পরিবর্তনের আওতায় আনছি। কিন্তু যে দেশ পরিবেশ সূচকে ১৮০ দেশের মধ্যে ১৭৯তম স্থানে থাকে, সেটি এক বছরে ৫০তম স্থানে পৌঁছে যেতে পারে না। এটি রাতারাতি সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ যদি ৫ থেকে ৭ বছর ধারাবাহিকভাবে কাজ করে এবং অবস্থান ৭৩-এর কাছাকাছি যায়, তবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার সেই ভিত্তির ওপর কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারবে।
সাম্প্রতিক আইনগত অগ্রগতির বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, বন সংরক্ষণে দুটি যুগান্তকারী আইন ইতোমধ্যে পাস হয়েছে। এসব আইন প্রাকৃতিক বনে নতুন করে হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ করেছে এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দিয়েছে। শিগগিরই জলাভূমি সংরক্ষণ আইনও পাস হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বর্তমান পরিবেশ বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করে উপদেষ্টা বলেন, সভাস্থল সাভারকে ইতোমধ্যে পরিবেশগতভাবে অক্ষয়িত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ বহু বছর ধরে বায়ুদূষণে বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষে রয়েছে। এটি এক বছরে বদলানো সম্ভব নয়, তবে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। এ ধরনের অবনমিত অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করে পুনর্বাসনের কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এলাকায় দূষণকারী ইটভাটা ও অন্যান্য ইউনিট আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্থানান্তর করা হচ্ছে। শ্রমিকেরা কর্মহীন হবেন না, তারা নতুন নির্ধারিত স্থানে কৃষি সম্পৃক্ত কাজে যুক্ত হবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৮:১৭ ৭ বার পঠিত