
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) জনাব সুপ্রদীপ চাকমা আজ শুক্রবার রাতে ঢাকা, মিরপুরের শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বর্তমান সরকার সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং নিজ নিজ ধর্ম পালনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা এই সরকারের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর নেতৃত্বাধীন এ সরকার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এই সরকার ধর্মীয় সহাবস্থান ও সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর। শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন তারই একটি সার্থক প্রমাণ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, সরকার এই ধরনের মহৎ কাজে সব সময় পাশে আছে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার সার্বিক উন্নয়ন, বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আশা প্রকাশ করেন, মিরপুর শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহারটি শুধুমাত্র একটি উপাসনালয় হিসেবে নয়, বরং সকলের জন্য জ্ঞানচর্চা ও মানবিক মূল্যবোধের কেন্দ্রে পরিণত হবে।
শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি ও শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রজ্ঞানন্দ মহাস্থবির, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সহসভাপতি ভবেশ চাকমা, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাস্টি ড. সুকোমল বড়ুয়া, লে. কর্ণেল মনীষ দেওয়ান, প্রকৌশলী তরুণ তপন দেওয়ান, লে. কর্নেল পরিমল বিকাশ চাকমা, প্রকৌশলী ক্যাশা চিং মারমা, নিরুপা দেওয়ান ও কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা। বক্তারা সকলেই এই মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং সরকারের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪২:৫৪ ৪ বার পঠিত