সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

হাদিকে গুলি করা অপরাধীরা পালিয়েছে কিনা- এখনও নিশ্চিত নয়

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » হাদিকে গুলি করা অপরাধীরা পালিয়েছে কিনা- এখনও নিশ্চিত নয়
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫



হাদিকে গুলি করা অপরাধীরা পালিয়েছে কিনা- এখনও নিশ্চিত নয়

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারীরা পালিয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয় প্রশাসন। তবে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ফিলিপ স্নালকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেক্টর কমান্ডার সরকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে সেক্টর কমান্ডার বলেন, হাদির ওপর গুলিবর্ষণকারী ময়মনসিংহ সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে গেছে কিনা, তা পুরোপুরি এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। যদি পাচার হয়ে থাকে তাহলে ফিলিপ স্নাল ভালো বলতে পারবে। ফিলিপ স্নালকে আটক করা গেলে পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। কীভাবে যোগাযোগ হয়েছে, কতটাকা লেনদেন হয়েছে, ওপারে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে, আদৌ পাচার হয়েছে কিনা, তা জানা যাবে।
ফিলিপ স্নালকে আটকের জন্য বিজিবি সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের পরই ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিজিবি সব্বোর্চ্চ সর্তক অবস্থানে চলে যায়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় ৩৯ বিজিবি পাচারের সম্ভাব্য রুটগুলো চিহ্নিত করে টহল ও চেকপোস্ট বসানো হয় সীমান্তের অধিকাংশ স্থানে। শনিবার পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়।
ঢাকা থেকে আসা পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বিজিবি ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডারের নিয়মিত যোগাযোগ এবং অভিযান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা শেষে শেরপুরের নালিতাবাড়ি ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের দুইটি স্থানে একসঙ্গে অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে অবস্থানরত ফিলিপ স্নালকে আটকের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশের আরেকটি দল হালুয়াঘাট এলাকায় অভিযানের পরিকল্পনা করে। এ ব্যাপারে সোর্স ও অন্যান্য বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করেছে বিজিবি। অপরদিকে বিজিবির নেতৃত্বে এবং ঢাকা থেকে আসা ও হালুয়াঘাট থানার পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে নালিতাবাড়ীর বারোমারি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কিন্তু ফিলিপ স্নালকে পাওয়া যায় নি। তবে তার স্ত্রী ডেলটা চিরান, শ্বশুড় ইয়ারসন রংডি এবং মানবপাচারকারী লুইস লেংমিঞ্জাকে আটক করে বারোমারী বিওপিতে আনা হয়। সেখানে বিজিবি, পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই তিনজনকে পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জব্দ করা হয়েছে ফিলিপ স্নালের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও৷ আজ সোমবার ভোরে ফিলিপ স্নালের নিকট আত্মীয় বেঞ্জামিন রিচান (৩০) নামের এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বিজিবি জানিয়েছে, মানবপাচারে জড়িত চক্র গুলোর কাছ থেকে ফিলিপের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে তথ্য পাওয়ায় তাঁকে খোঁজ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫০:২৯   ১২ বার পঠিত