
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে কয়েকজনের ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক পোশাকশ্রমিককে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত। কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। তিনি জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছেন।
মব জাস্টিস নিয়ন্ত্রণে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, সব জায়গায় আগেভাগে পুলিশ মোতায়েন করা কঠিন। কোথায় কখন হামলা হবে, তা অনেক সময় আগেই জানা যায় না। তবে সরকার সব সময় এ ধরনের সহিংসতা নিরুৎসাহিত করে আসছে।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হামলাকারীদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং ধর্মভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক দলের বক্তব্য প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সরকার অনুমোদিত ও চলমান কোনো প্রতিষ্ঠানে হামলা বা অগ্নিসংযোগ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও সরকার আশাবাদী যে আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
একই রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল কি না—এ প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি সরাসরি গোয়েন্দা ব্যর্থতা হিসেবে বলা ঠিক হবে না। এটি মূলত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয়।
সরকারের মদদে এসব ঘটনা ঘটছে—এমন অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, সরকার স্থিতিশীলতা চায়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে সেটি সরকারেরই ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হবে। তাই সরকার কখনোই এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৩:১৭ ৬ বার পঠিত