চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োগ বাণিজ্যে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্যরা। রবিবার সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবুল ও জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল পৃথক পৃথক ভাবে চট্রগ্রামের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে চট্রগ্রাম বন্দরের নিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য তুলে ধরে মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, সেখানে কে বা কাদের নির্দেশে নিয়োগ বাণিজ্য করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরে চতুর্থ শ্রেণির একটি পদে নিয়োগ পাওয়া ৯২ জনের মধ্যে মাত্র দুজন চট্টগ্রামের এবং বাকি ৯০ জন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের এলাকা মাদারীপুরের এমন অভিযোগ তুলে ধরেন।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের যত নিয়োগ হয় সব পরীক্ষা ঢাকায় হয়, এটার কারণটা কী বুঝতে পারছি না? বন্দরের অন্য ডিপার্টমেন্টেরও পরীক্ষা হয় ঢাকায়। লোকাল এমপি হিসেবে লোকজন আমাদের কাছে আসে আমরা সুপারিশ করি, কিন্তু মেরিটেও তারা চাকরি দিতে পারে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক। অথচ চট্টগ্রামের মানুষ এই বন্দরকে সচল রেখেছে। তাদের এখানে চাকরি পাওয়ার জন্মগত দাবি আছে। তাদের অধিকার আছে মেরিট অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার। আর এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের ও মন্ত্রণালয়ের।’
তিনি বলেন, নিয়োগ নিয়ে এখনও আন্দোলন চলছে। বিষয়টির দ্রুত সমাধান করা না গেলে সামান্য ভূলে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আর চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়োগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামবাসীর জন্য কোটা দাবি করেন জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১০:৫৯ ৪৬২ বার পঠিত