স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের চরবাগ্গা গ্রামে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় আরো দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৭ জনে।
পুলিশ জানায়, ভোরে চট্টগ্রামের নাজিরহাট থেকে প্রকাশ জইস্যা (৩৫) এবং দুপুরে একই জেলার ডাবলমুরিং এলাকা থেকে হাসান আলী ভুলু (৬০)কে গ্রেফতার করা হয়।
বিকেল ৩টা পর্যন্ত গণধর্ষণের মামলায় এজাহারভুক্ত ৯ জনের মধ্যে ৫ জন, গণধর্ষণের মূলহোতা রুহুল আমিন ও জড়িত সন্দেহে জসিম উদ্দিন প্রকাশ জইস্যাসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চরজব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, ভোর রাতে চট্টগ্রামের নাজিরহাট এলাকা থেকে জসিম উদ্দিন ওরফে জইস্যাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। তবে তদন্তে তার নাম আসায় তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে নোয়াখালীতে নিয়ে আসা হচ্ছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ জানান, দুপুর একটায় চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি হাসান আলী ভুলুকে গ্রেফতার করা হয়। এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোটকেন্দ্রে বাকবির্তকের জের ধরে রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ভিকটিমের ভেতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সোহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচুসহ ১০জন।
এসময় তারা ঘরে ভাংচুর করে ভিকটিমের স্বামীকে মারধর ও ৪ সন্তানকে বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে উঠানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করে।
পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে ৯জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় রুহুল আমিন মেম্বারকে আসামি করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:৩২:৪০ ২০০ বার পঠিত
