কর্ণফুলীতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু

প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » কর্ণফুলীতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু
সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯



---

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীতে গড়ে তোলা সরকারি-বেসরকারি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় সদরঘাট লাইটারেজ জেটি ঘাট এলাকায় এই অভিযান শুরু হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পতেঙ্গা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার তাহমিলুর রহমান ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।

সিটি করপোরেশন, সিডিএ, চট্টগ্রাম বন্দর কতৃর্পক্ষ, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস সাভির্স ও কণর্ফুলী গ্যাসের প্রতিনিধিরা এ অভিযানে উপস্থিত আছেন। এছাড়াও পুলিশ ও র‌্যাবের ২৫০ সদস্যও অভিযানে অংশ নিয়েছেন।

অভিযানের শুরুতেই জেটি ঘাটে নদী সংলগ্ন স্থাপনা বুলডোজার দিযে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর জানান, পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে শুরু করে মোহরা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা তিনটি জোনে ভাগ করে এ অভিযান চালানো হবে। প্রথম ভাগে সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। পরে পতেঙ্গা ও চাক্তাই এলাকায় উচ্ছেদ শরু হবে।

অভিযানে অংশ নেওয়া ডেপুটি এস্টেট অফিসার জিল্লুর রহমান জানান, কর্ণফুলীর তীরে গড়ে ওঠা ২১৮১টি অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। পে লোডার, এক্সক্যাভেটর ও ট্রাক নিয়ে ১০০ জন শ্রমিক নদী তীরের অবৈধ স্থাপনাগুলো ভাঙার কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১৮ জুলাই পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে একটি রিট আবেদন করা হয়। পরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদী দখল, মাটি ভরাট ও নদীতে সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নদীর প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশের পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর কর্ণফুলীর দুই তীরে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে। জরিপে নদীর দুই তীরে প্রায় আড়াই হাজার অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে জেলা প্রশাসন। পরে এই প্রতিবেদন ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর উচ্চ আদালতে দাখিল করা হয়। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নদীতীরের স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেন। অর্থ সংকটে সে সময় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে এক কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা প্রশাসন ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় সেবারও উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে অর্থ বরাদ্দের আশ্বাসে অভিযান শুরু হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৪:০০   ১৭১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

চট্টগ্রাম’র আরও খবর


ফিরলেন লিটন, নতুন মাইলফলক সাকিবের
চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়ালো
গুলির উৎস খুঁজতে গিয়ে মিলল অস্ত্রের কারখানা!
ফেনী শর্শদীর ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বহিষ্কৃত
চট্টগ্রামের নির্বাচনেও মাঠে ছিল না বিএনপি - তথ্যমন্ত্রী
সহিংসতা-সংঘর্ষ-ইভিএম ভাঙচুর: ২ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত
অপহরণের ৫ দিন পর মাদরাসাছাত্র উদ্ধার, আটক বাবুর্চি
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর স্ত্রীর ওপর বিএনপির হামলা
মধ্যরাতে বন্যহাতির তাণ্ডব, প্রাণ গেল ২ কিশোরের
বিত্ত কখনো রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না - তথ্যমন্ত্রী

আর্কাইভ