
সিলেট নগরের শিবগঞ্জ খরাদিপাড়ায় কটন মিলের ফ্যাক্টরি ব্যবস্থাপক মিসবাউল হককে (৫৫) ছিনতাইয়ের জন্যই বাসায় ঢুকে খুন করা হয়। রোববার ঘটনার মূলহোতা ঘাতক রমজান মিয়াকে (২৫) সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-৩ এ হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে নিজের দোষ স্বীকার করেন। এত রমজান একাই জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
রমজান কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী থানার কারপাশা গ্রামের উসমান মিয়ার ছেলে। স্বীকারোক্তি রেকর্ড করে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় নগরীর শিবগঞ্জ খরাদিপাড়ায় নিজ বাসায় খুন হন কটন মিলের ব্যবস্থাপক মিসবাউল হক। নিহত মিসবাউল ওই এলাকার সিদ্দিকী কটন মিলের ব্যবস্থাপক ছিলেন। তিনি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাউয়া এলাকার মৃত মোস্তাক হোসেনের ছেলে ও খরাদি পাড়া বৈশাখি ১০৬ নম্বর বাসায় বসবাস করতেন।
এ ঘটনায় গত শনিবার দুপুরে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার এবং শাহপরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। খরাদিপাড়ার একটি কলোনী থেকে ঘটনার মূলহোতা রমজান মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর রমজান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, সে (রমজান) প্রায়ই দেখত রাতে কাজ শেষে মালিককে হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে নগদ টাকা নিয়ে কটন মিল থেকে বের হতেন মিসবাউল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সেই টাকা ছিনতাইয়ের জন্যই সে মিসবাউলের গলায় ও বুকে ছুরিকাঘাত করে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। রোববার ঘাতক রমজানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৯:৩৩ ২৪২ বার পঠিত