চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিহত যুবকের কাছে যে অস্ত্রটি পাওয়া গেছে তা খেলনা পিস্তল বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে বিমান ছিনতাই চেষ্টার কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
রোববার রাতে ছিনতাইকাণ্ড অবসানের পর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘তার কাছে যে অস্ত্রটি পাওয়া গেছে এটা ফেইক, খেলনা পিস্তল।’
পরবর্তীতে এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীও এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘ওই পিস্তলটি ছিল খেলনা। এক নায়িকার প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ওই যুবক এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।’
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম নাঈম হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি জানি, তার কাছে একটা অস্ত্র ছিল। ঐ ব্যক্তি বলেছিল যে তার গায়ে বোম্ব জড়ানো আছে। ওটা কী ছিল, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।’
মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার জানানো হয়, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোকাব্বির হোসেনকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সরাসরি আদেশে আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) এই কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (বিজি-১৪৭) জরুরি অবতরণ করে। ওই উড়োজাহাজে ১৩৪ জন যাত্রী ও ১৪ জন ক্রু ছিলেন। বিমানটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণের পর তারা সবাই অক্ষত অবস্থায় নেমে আসেন। কেবিনক্রুদের জিম্মি করা হয়েছিল। তবে ছিনতাইকারী কোনও যাত্রীর ক্ষতি করেননি।
এদিকে, বিমান ছিনতাইয়ের এই ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫২:৫৪ ২০১ বার পঠিত
