আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সাল

ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস
ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। ১৯৫৬ সালের এই দিনে মরহুম জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ একটি টিনশেডে ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সাল থেকে সমিতি এ দিনটিকে ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। এ দিবসে ডায়াবেটিক সমিতি বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালন করে। দেশব্যাপী সমিতির প্রায় অর্ধশত শাখা আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকে।

১৫২২ সালের এ দিনে ডেনমার্কের রাজা দ্বিতীয় ক্রিস্টিয়ানের বিরুদ্ধে সুইডেনের জনগণের গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়। এই রাজা সুইডেন ও নরওয়ের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গুস্তাভ ওয়াজার নেতৃত্বে এই অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়। তিনি সুইডেনের কৃষক ও প্রোটেস্টান্ট জনগণের সহায়তায় সুইডেনকে স্বাধীন করার সংগ্রাম শুরু করেন। এই অভ্যুত্থানের ফলে দ্বিতীয় ক্রিস্টিয়ান ক্ষমতাচ্যুত হন এবং গুস্তাভ ওয়াজা ক্ষমতাসীন হন ও ওয়াজার বংশধররাই পরবর্তীতে সুইডেনে রাজা হতে থাকেন। প্রায় ৩০০ বছর ধরে সুইডেনে এই বংশের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকে। ১৮১৮ সালে মার্শাল বাতিস্ত বার্নাডোট এই রাজবংশকে উচ্ছেদ করেন। ফ্রান্সের অন্যতম এই সেনাপতি কার্যত: ১৮১২ সাল থেকেই সুইডেনের কর্তৃত্ব হাতে নেন।

১৮১৩ সালের এ দিনে তৎকালীন ইউরোপের দুই বড় শক্তি প্রুশিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক এবং সামরিক জোট গঠিত হয়। নেপোলিয়ন বোনাপার্টকে মোকাবেলা করাই ছিল এ জোট গঠনের উদ্দেশ্য। কারণ নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া ও প্রুশিয়ার সেনাদের পরাজিত করেছিলেন। পরে ফরাসী সা¤্রাজ্যের বিরুদ্ধে গঠিত এ জোটে যোগ দেয় বৃটেন, অস্ট্রিয়া ও সুইডেন। এটা ছিল ফরাসী সা¤্রাজ্যের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় দেশগুলোর গঠিত সপ্তম জোট। এই জোট শেষ পর্যন্ত নেপোলিয়নকে পরাজিত করে।

১৯২২ সালের এ দিনে মিশর স্বাধীনতা লাভ করে। প্রায় ৮ হাজার বছর আগে মিশরে মানব বসতি ছিল এবং সাড়ে ৬ হাজার বছর আগে সেখানে কেন্দ্রীয় শাসনের অস্তিত্ব দেখা যায়। ইসলামের আবির্ভাবের ২০ বছর পর মিশর মুসলমানদের দখলে আসে। ৯৬৯ সালে মিশরের ফাতেমীয় শিয়ারা মিশর দখল করে এবং সেখান ফাতেমীয় খেলাফত প্রতিষ্ঠা করে। ১১৭২ সালে আইয়ুবী বংশের হাতে এ খেলাফতের পতন ঘটে। ষোড়শ শতকের প্রথম দিকে মিশর তুরস্কের ওসমানীয়দের কর্তৃত্বাধীন হয়। মিশরে ওসমানীয় খেলাফতের প্রতিনিধি বা স্থানীয় গভর্ণর ছিলেন মোঃ আলী নামের একজন আলবেনীয়। পরে তার উত্তসূরীরা মিশরে স্বাধীনভাবে শাসন করতে থাকে। খাদিভ নামের এই শাসকদের অযোগ্যতা বা দূর্বলতার সুযোগে মিশরে বৃটেনের কর্তৃত্ব বাড়তে থাকলে সেখানে গণবিদ্রোহ দেখা দেয়। এই বিদ্রোহ দমনের জন্য ইংরেজরা ১৮৮২ সালে আলেক্সান্দ্রিয়া বন্দরে সেনা নামায়। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিশরীয় জনগণের বিদ্রোহের কারণে বৃটেন মিশরকে নিজের অভিভাবকত্বের আওতাধীন বলে ঘোষণা করে। কিন্তু এরপরও মিশরীয় জনগণের উপনিবেশবাদ বিরোধী সংগ্রামের চাপে বৃটেন ১৯২২ সালের এ দিনে মিশরের স্বাধীনতা মেনে নেয়। উত্তর-পূর্ব আফ্রিকায় অবস্থিত মিশরের আয়তন দশ লক্ষ বর্গমিটার।

১৯৭৯ সালের এ দিনে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রূপকার মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) ধর্মীয় শহর কোমে ফিরে আসেন। ১৯৬৩ সালে এই শহরেই ইমাম খোমেনী (রঃ)’র নেতৃত্বে শাহের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত গণ-জাগরণ শুরু হয়েছিল। ফলে পরের বছর শাহ তাকে বিদেশে নির্বাসনে পাঠান। বিপ্লবের রূপকার বিপ্লব বিজয়ের পরও খুবই সাদা-মাটা একটি ভবনকে বসবাসের জন্য বেছে নেন। কিন্তু কয়েক মাস পর বিপ্লবকে কাছ থেকে নেতৃত্ব দেয়ার প্রয়োজনে ইমাম খোমেনী (রঃ) তেহরানে আসেন।

১৯৮৮ সালের এ দিনে ইরাকের আগ্রাসী সাদ্দামের সেনারা ইরানের মুজাহিদদের হাতে বিভিন্ন রণাঙ্গনে উপর্যুপরি পরাজয়ে দিশেহারা হয়ে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরের আবাসিক এলাকায় চতুর্থ পর্যায়ে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করে। দেড় মাসের এসব হামলায় শত শত বেসামরিক ইরানী শহীদ ও আহত হন। অবশ্য যুদ্ধের শুরুর দিকেও সাদ্দামর বাথিস্ট সেনারা ইরানে কয়েকবার এ ধরনের হামলা চালিয়েছিল। বিভিন্ন রণাঙ্গনে উপর্যপরি পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া এবং ইরাকের সাদ্দাম সরকারের পছন্দনীয় শর্তে যুদ্ধ-বিরতি প্রতিষ্ঠা করতে ইরানের নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য এ ধরনের হামলা চালায় সাদ্দাম-বাহিনী। ইরানের যাত্রীবাহী বিমান ও বেসামরিক জাহাজও ইরাকের সাদ্দাম বাহিনীর এ ধরনের হামলার শিকার হয়। সাদ্দাম-বাহিনী ইরানের বেসামরিক জনগণের ওপর রাসায়নিক বোমা নিক্ষেপ করতেও কুণ্ঠিত হয় নি।

১৯৯১ সালের এ দিনে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র জর্জ বুশ ইরাকের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের যুদ্ধের পর যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করেন। ১৯৯০ সালের আগষ্ট মাসে ইরাকের সাদ্দাম সরকার কুয়েত দখল করলে কুয়েতকে মুক্ত করার জন্য ১৯৯১ সালের জানুয়ারী মাসে মার্কিন, বৃটিশ ও ফরাসী জঙ্গী বিমানগুলো ইরাকে বোমা বর্ষণ শুরু করে। ফেব্রুয়ারী মাসে ইঙ্গ-মার্কিন ফরাসী বাহিনী স্থলপথে ইরাকে প্রবেশ করে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রভাব খাটিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের ওপর অপমানজনক অনেক শর্ত চাপিয়ে দেয়। এসব শর্ত অনুযায়ী ইরাকের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর ফলে ইরাকের অনেক মানুষ ওষুধ ও শিশু খাদ্যের মত বিভিন্ন জরুরী পণ্যের অভাবে রোগ ও মৃত্যুর শিকার হয় এবং ভেঙ্গে যায় দেশটির অর্থনৈতিক মেরুদন্ড।

আগে ৬৩০ হিজরীর এ দিনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও ইতিহাসবিদ ইবনে আসির জাযারি ইন্তেকাল করেন। আল কামেল ফিত্তারিখ বা পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস তার একটি বিখ্যাত বই। এ ছাড়াও তার আরেকটি বিখ্যাত বই হল আসাদাল গ¦াবে ফি মারেফাতুল সাহাবে। ৬ খন্ডের এ বইয়ে তিনি বিশ্বনবী (সাঃ)’র ৭ হাজার ৫০০ জন সাহাবীর বৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন।

প্রথম বাহাদুর শাহর মৃত্যু (১৭১২)
চতুর্থ জর্জ ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন (১৮২০)
তুরস্ক ও সার্বিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর (১৮৭৭)
ভারতে প্রথম টেলিগ্রাফ চালু (১৮৮৩)
রাশিয়ার জগদ্বিখ্যাত সুরকার আলেকজান্ডার বরোদিনের মৃত্যু (১৮৯০)
আফগানিস্তানের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যুদয় (১৯১৯)
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা (১৯৫১)
বাংলাদেশে আদমশুমারীর কাজ সম্পন্ন (১৯৭৪)
সামরিক শাসন বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলের ওপর পুলিশের ট্রাক তুলে দেয়া হলে সেলিম দেলোয়ার নিহত (১৯৮৪)

বাংলাদেশ সময়: ১২:০৭:৪৭   ২৩৯ বার পঠিত