
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমশিনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় প্রতীকে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক, নির্বাচন কমিশনের না। রোহিঙ্গারা দেশে প্রবেশের পর তাদের সব আঙুলের ছাপ পুলিশ প্রশাসন নিয়ে রেখেছে। যে কারণেই রোহিঙ্গাদের ভোটার হবার কোনো সুযোগ নাই। একজন ব্যক্তি তো একবারই ভোটার হতে পারবেন। আর ভুল তথ্য বা আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটার হতে পারবে না তারা। আগে এক ব্যাক্তি একাধিকার ভোটার হতে পারত কিন্তু এখন সে সুযোগ নাই। এখন সব বায়োমেট্রিক, সুতরাং নিজের পরিচয় গোপন রেখে ভোটার হবার সুযোগ নাই।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নূরুল হুদা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৯৯ শতাংশ ভোট পড়লেও উপজেলা পরিষদে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি অংশ না নেওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো, নুরুজ্জামান তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম, সিভিল সার্জন ডা. মো. রহিম বকস, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানসহ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর মেয়র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৭:০৬ ২৮৪ বার পঠিত