
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সরকারি গেজেট, নিয়োগ, নীতিমালা, বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, প্রটোকল, মূল্যবান
রেকর্ড, নথিপত্র, রাষ্ট্রীয় তথা জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি আর্কাইভাল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার
অধিদপ্তর। আর্কাইভাল রেকর্ড ছিল বলেই ৪৮ বছর আগের নথিপত্র খুঁজে বের করে (পর্যালোচনা করে) মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকার্য সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। একইভাবে ভূমির ক্ষেত্রেও ৭০-৮০ বছরের পূর্বের গেজেট ও নথিপত্র দেখেভূমি সংক্রান্ত অনেক জটিলতা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে আর্কাইভাল ম্যানেজমেন্ট।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত ‘এডভান্সড আর্কাইভাল রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট’ এবং ‘ডিজিটাল/আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক ১০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিকে মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে যেখানে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত লাইব্রেরিয়ানের পাশাপাশি একটি মুজিব কর্নার থাকবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, লাইব্রেরিকে আরো জনমুখী ও উন্নততর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা সিস্টেম’ শীর্ষক প্রকল্প চলমান রয়েছে। আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দিলীপ কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মোঃ সুজায়েত উল্ল্যা।
উল্লেখ্য, ২৩ এপ্রিল হতে ৫ মে ২০১৯ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ‘এডভান্সড আর্কাইভাল রেকর্ডস ম্যানেজমেন্ট’ কোর্সে ২৩টি মন্ত্রণালয়ের ২৩ জন
প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ‘ডিজিটাল/আধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা’ কোর্সে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি গ্রন্থাগারের ২৩ জন লাইব্রেরিয়ান
অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৮:৪৩ ১৪৫ বার পঠিত