
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার শুধু গাজীপুর নয়, সারা দেশের কৃতি সন্তান। তিনি শুধু
শ্রমজীবী মানুষের নেতা নন, গণমানুষের নেতা। তিনি জাতির জন্য জীবন দান করেছেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তাঁকে শুধু শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলেই হবে না, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করতে হবে । তাঁর জ্ঞান, শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এবং জীবনে কাজে লাগাতে হবে। তাঁর রক্ত যেন বৃথা না যায় এ জন্য তার আদর্শের বাস্তবায়ন করতে হবে।
আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ১৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান
অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, তখনকার ক্ষমতাসীন সরকার এ জঘন্য হত্যাকান্ড পর তদন্ত ছাড়াই দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে চালিয়ে দেন। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের চেষ্টা করলেও তা করতে দেয়া হয়নি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের সন্তান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের বর্ণাঢ্য জীবনী ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেন। তিনি কিভাবে দেরাদুনে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর দেশের জন্য যুদ্ধ করেন, স্বাধীনতার পর শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন, সব কিছু সবিস্তারে বর্ণনা করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের ইচ্ছায় প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, সর্বশেষে জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আজীবন তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন।
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন এডভোকেট আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল বাতেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামসুন্নাহার ভুঁইয়া এমপি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কূর আহমেদ, সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ হারুন-অর-রশীদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আতাউর রহমান। বক্তাগণ একবাক্যে বলেন, তাঁর মতো সজ্জন ও জনদরদী মানুষ বিরল। তারা শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকা-ের রায় দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৫:১৩ ১৫২ বার পঠিত