জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে হৃদরোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এ কারণে সরকার প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে একটি করে স্বতন্ত্র হৃদরোগ বিশেষায়িত হাসপাতাল (উন্নতমানের হার্টের চিকিৎসার জন্য) পর্যায়ক্রমে স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে সারা দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নতমানের হার্টের চিকিৎসার জন্য করোনারী কেয়ার ইউনিটসহ আলাদা হৃদরোগ বিশেষায়িত বিভাগ ও কিডনি বিভাগ খোলা হয়েছে। এসব হৃদরোগ বিভাগগুলোতে উন্নতমানের হৃদরোগ চিকিৎসার সকল প্রকার ঔষধ (ব্যয়বহুলসহ) বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে এবং বেশ কিছু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনজিওগ্রামসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
রবিবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের প্রথম সারির অধিক গুনগত মানসম্পন্ন ৩০টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ পূরণ করে থাকে এবং শতকরা ১০ ভাগ ঔষধ অন্যান্য মাঝারি ও ছোট ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও আমদানীর মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে।
তিনি জানান, দেশের নামি-দামী কিছু কোম্পানীর কিছু কিছু ব্রান্ডের ঔষধ নকল হয় যা অত্যন্ত নগন্য। এ সকল নকল-ভেজাল ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।
সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানান, রোহিঙ্গা শিশুদের দ্রুত টিকাদানের আওতায় আনতে সরকার ব্যপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে জন্ম নেওয়া নবজাতকের জন্মনিবন্ধনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে এবং ইউএনএইচসিআর নামক সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় জন্মনিবন্ধণের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:০৪:১১ ৫৬৪ বার পঠিত