
মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা এবং ল্যাপটপ গায়েব করার ঘটনায় গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের পিয়নসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং নির্বাচন কমিশন আইনে দায়ের হয়েছে মামলাটি।
মঙ্গলবার ভোরে বন্দরনগরীর ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
কোতোয়ালির ওসি মোহাম্মদ মহসিন ঢাকা টাইমসকে জানান, মামলায় ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীন, তার দুই সহযোগী বিজয় দাস ও তার বোন সীমা দাশ ছাড়াও আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
রোহিঙ্গারা শরণার্থী হিসেবে কক্সবাজারে আশ্রিত হলেও তাদের অনেকে রোহিঙ্গারে জাতীয় পরিচয়পত্র করে পাসপোর্ট নেওয়ার ঘটনা প্রকাশ হয়েছে। এরপরই তা তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি।
এরইমধ্যে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদীনকে আটক করে পুলিশে দেয় ইসি কর্মকর্তারা। পরে তার কাছ থেকে ‘হারিয়ে’ যাওয়া একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
সম্প্রতি কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সময় যে পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে, তারা চট্টগ্রামে কর্মরত জয়নাল আবেদীনের সহায়তায় ভোটার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজারে আটক হওয়াদের তথ্য নিয়ে তাদের একটি দল জয়নালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জয়নাল তার কাছে একটি ল্যাপটপ থাকার কথা স্বীকার করেন এবং তা তার বন্ধু বিজয়ের কাছে আছে বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘বিজয়কে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে আনা হলে তিনি ল্যাপটপটি তার বোন সীমার কাছে আছে বলে স্বীকার করেন। সীমা ল্যাপটপটি নিয়ে রাতে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এলে তাদের তিনজনকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।’
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৭:১৩ ১৯৯ বার পঠিত