দাবিকৃত যৌতুকের তিন লাখ টাকা না পেয়ে স্বামীসহ শ^শুড় বাড়ির লোকজন ঝরনা বেগম নামে এক গৃহবধুকে ঘরের ভেতরে আটক রেখে নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ বৈলারটেক এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। ঝরনা বেগম রাজধানীর খিলক্ষেত থানার পাতিরা এলাকার হাজী ফজল মিয়ার মেয়ে।
গৃহবধুর পিতা হাজী ফজল মিয়া জানান, গত ৯ বছর আগে দক্ষিণ বৈলারটেক এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মনির হোসেনের সঙ্গে তার মেয়ে ঝরনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫ লাখ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে রোহান নামে এক ছেলে সন্তান হয়।
প্রায় সময়ই মেয়ে ঝরনার কাছে স্বামী মনির হোসেন বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয়ার জন্যে চাপ প্রয়োগ করতো। টাকা এনে দিতে না পারায় ঝরনাকে প্রায় সময়ই মানসিক চাপ ও মারধর করা হতো। বেশ কয়েক দিন ধরেই ব্যবসা করার জন্যে মনির হোসেনসহ শশুর বাড়ির লোকজন ৩ লাখ টাকার জন্যে ঝরনাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলো।
ঝরনা কোন প্রকার টাকা এনে দিতে পারবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এতে সোমবার সকালে ঝরনাকে ঘরের ভেতরে আটকে রেখে শারিরিক নির্যাতন চালায় মনিরসহ শশুর বাড়ির লোকজন। পরে ঝরনার আতœচিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। তবে, অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:১৩:৩৫ ৪৯৪ বার পঠিত