নাসিক ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার রানা খান এর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন বন্দরের নাসরিন ইমতিয়াজ। গত সোমবার (৯ অক্টোবর) তিনি এ আবেদন করেন।
আবেদন পত্রে নাসরিন ইমতিয়াজ উল্লেখ করেন, বন্দর কবরস্থান রোডের স্বল্পের চক রাশেদ খানের বাড়ির পাশে ৬৭,৭২ দাগের জমি পৈত্রিক সূত্রে এবং বন্টন বলে এই জমির মালিক আসমা, তাসলিমা ও মুসলিমা (তিন বোন) এক বোন তাসলিমা ৩০ বছর যাবৎ বাড়ি করে বসবাস করছে। ছোট বোন মুসলিমা ১১ শতাংশ বিক্রি করে আপন মেঝ ভাই ইমতিয়াজ উদ্দিন খোকনের কাছে।
বর্তমানে খোকন ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক। এখান থেকে (৩) শতাংশ জায়গা নাসিক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান তার চাচাতো ভাই সুমন প্রধানকে কিনে দেয়। জামির দাম তিন লক্ষ টাকা দরে মোট নয় লক্ষ টাকা। তারপর চার লক্ষ টাকা প্রদান করে এবং তিন লক্ষ টাকার চেক দিয়ে জায়গা রেজিষ্ট্রি করে নেয়। বাকি টাকা চেকসহ এক মাসের সময় নেয় দুলাল প্রধান। কিন্তু তিন বছর হতে যাচ্ছে টাকা দেই দিচ্ছি বলে টাকা পরিশোধ করছে না।
অবশেষে কাউন্সিলর দুলাল প্রধান তার ব্যবসায়িক পার্টনার ভূমিদস্যু রানান খধন (৪০) পিতা- রাশেদ খান, দুলাল প্রধানের চাচাতো ভাই সমুন প্রধান পিতা- মৃত: আনু সরদার। ইমতিয়াজ উদ্দিনের বড় ভাই আসলাম মিয়া, পিতা-মৃত: কালাচান মিয়া, এরা সকলে খোকনের সম্পত্তি আত্মসাতের পরিকল্পনা করে। ৬৭ ও ৭২ দাগের জমিটি ত্রিভুজ আকারের। তার একটি অংশ পূর্ব থেকে রানা খানের দখলে ছিল। যাহার পরিমান প্রায় দেড় শতাংশ।
এ ব্যাপারে খোকন মীমাংসার হাত বাড়ালে রানা খান বলে জায়গা দেওয়া যাবে না বিনিময়ে তার মূল্য দেওয়া হবে। ৬ লক্ষ টাকা দরে দেড় শতাংশের মোট মূল্য ৯ লক্ষ টাকা। সহজ সরল খোকন তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পারে নাই। খোকনের কাছ থেকে এবারও রানা খান চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৬ লক্ষ টাকা নগদ দিয়ে রেজিষ্ট্রি করে নেয়।
বাকি তিন লক্ষ টাকা এক সপ্তাহ পর দিবে বলে সময় নিয়ে দেই দিচ্ছি বলে যাচ্ছে। খোকনের স্ত্রী রানা খানের কাছে টাকা চাইলে সে বলে আপনারা কোন টাকা পাবেন না। এই টাকা দুলাল প্রধানকে দিয়ে দিয়েছি।
খোকনের স্ত্রী বলে আমাদের টাকা দুলালকে দিবেন কেনো, রানা খান বলে এই এলাকায় যেখানে জমি বেচা-কেনা হবে দুলালকেই টাকা দিতে হবে। ইমতিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী দুলালের বাসায় গিয়ে খালি জায়গায় ২টা ঘর করার অনুমতি চাইলে বাড়ি করা যাবে না বলে তাড়িয়ে দেয়। ভূমিদস্যু রানা খান রাতারাতি বালু ভরাট করে সাড়ে পাঁচ শতাংশ জমি দখল করে নেয়।
অবশেষে ২৫/৯/২০১৭ইং তারিখ আনুমানিক রাত ৯টার দিকে রাস্তা দিয়ে বাড়িতে আসার সময় চাঁন মিয়ার বাড়ির সামনে দুলাল ও রানার সন্ত্রাসী বাহিনীর কুদ্দুস ও তার দুই ছেলে ইমরান, ফয়সাল এবং আসলামের ছেলে সবুজ, রানা, শুভসহ আরো অনেকে খোকনের উপর আক্রমন করে।
রড এবং হকি দিয়ে পা থেকে কোমড় পর্যন্ত এলাপাথারি পিটায়। এমতাবস্থায় খোকন চিৎকার করতে করতে রাহিম উদ্দিনের বাড়িতে ঢুকতে পেরে প্রাণে বেঁচে যায়। এরপর গুরুতর অবস্থায় খোকনকে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে খোকন পৌছাঁনোর আগেই রানা খান ও সন্ত্রাসী কুদ্দুস উপস্থিত হয়।
সেখানেই জনসম্মুখে কুদ্দুস বলে আমরা যদি চাই দিনে দুপুরে কোন মানুষের হাত-পায়ের রগ কাটবো তাই করি। এ কথা শুনে হাসপাতালের সবাই চুপ হয়ে যায়। ঐ হাসপাতালে ৫ দিন চিকিৎসার কোন উন্নতি না হওয়ায় এবং নিরাপত্তা হীনতার কারণে খোকনের স্ত্রী নাসরিন ইমতিয়াজ নিজ দায়িত্বে ঢাকার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে আজ সাতদিন যাবৎ ভর্তি আছে। খোকনের মেরুদন্ডের হাড় ফেটে গেছে। বর্তমানে অর্থপেডিক্স ডাঃ মধু সুধন পালের অধীনে চিকিৎসাধীন আছে। ভূমিদস্যু রানা খান ও সন্ত্রাসী দুলাল প্রধানের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে এখন খোকনের পরিবার মাননীয় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪০:১৪ ৭৪৬ বার পঠিত