নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক সমর্থকদের সংঘর্ষে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও অপরটির নিহত সুমনের শাশুড়ি কাজল রেখা বাদী হয়ে মামলা করেন।
পুলিশের মামলায় ২হাজার অজ্ঞাতনামা ও কাজল রেখার মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫০জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ও আজ শুক্রবার পৃথক মামলা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকরর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন জানান, নিহত সুমন মিয়ার শাশুড়ি কাজল রেখার করা মামলায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিককে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। আরো ১৭ জনের নামউল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি জানান, এ মামলায় রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাছুম চৌধুরী অপুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অপর আসামিরা হচ্ছেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ও তার ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম, তারাবো পৌরসভা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আউয়াল, আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন, তারাবো পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বায়োজিদ, রনি, দুলাল, জসিম, কবির, সজিব, রানু, জাহাঙ্গীর, মনির, শামীম, আজাদ, ফয়সাল ও আমজাদ। আসামিরা সকলেই চেয়ারম্যান রফিকের সমর্থক। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে বায়েজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
ওসি ইসমাইল হোসেন আরো বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও পুলিশের কাজে বাধা এবং হামলার ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই)হুমায়ূন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২ হাজার আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৩৮ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
গতকাল খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে আওয়ামী লীগের সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী সমর্থক ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে সুমন মিয়া মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৮:৪৩ ৪৩৮ বার পঠিত