জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য-সংস্কৃতিমূলক সৃষ্টিকর্ম সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রকাশ ও প্রচারের লক্ষ্যে নজরুল ইনস্টিটিউট বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। সোমবার বিকেলে ‘কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইন-২০১৮’ নামের এই বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা। তবে তাদের ৪টি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাকি প্রস্তাবগুলো কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়। গত ১৫ নভেম্বর সংসদে বিলটি উত্থাপন করা হয়।
এতদিন নজরুল ইনস্টিটিউট ১৯৯৪ সালের একটি অধ্যাদেশ দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিলো। আদালতের নির্দেশ ও ওই অধ্যাদেশটাকে একটি পূর্ণাঙ্গ আইনে রুপান্তরের লক্ষ্যে নতুন বিলটি আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই আইনে বাছাই কমিটির সুপারিশ ও বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিবছর ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে নজরুল পুরস্কার প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। নজরুল সংগীত, সাহিত্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। এছাড়া নজরুল গবেষণাকে উৎসাহিত করতে নতুন আইনে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে নজরুল ইনস্টিটিউট পরিচালনা বোর্ড সাত সদস্যের পরিবর্তে নয় সদস্যের করার বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সেখানে সরকার মনোনীত একজন নজরুল বিশেষজ্ঞ তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। আর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি এবং নরুজল সৃষ্টি কর্মে নিয়োজিত চারজন ব্যক্তি এই বোর্ডের সদস্য থাকবেন। এছাড়া ইনস্টিটিউটের একজন নির্বাহী পরিচালক থাকবেন।
বিলে বোর্ডের কার্যাবলী, বোর্ডের সভা, নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগ, ক্ষমতা অর্পণ, ইনস্টিটিউটের তহবিল, বাজেট, হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা, বার্ষিক প্রতিবেদন, বিধি-প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৬:০২ ২৯৬ বার পঠিত