স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, বর্তমান বিশ্বে জঙ্গী একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানে জিরো টলারেন্স নীতি সারা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে জঙ্গী অন্যতম অন্তরায়। তবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গী দমনে জিরো টলারেন্স নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে জঙ্গী দমনে সারা বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গী সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বিপুল পরিমাণ জঙ্গী সদস্য গ্রেফতার এবং তাদের নেটওয়ার্ক ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয়েছে।
রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, বিচ্ছিন্নভাবে পলাতক থাকা জঙ্গী সদস্যরা মাঝে মধ্যে নিজেদের সংগঠিত করার জন্য দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ও দুর্গম চরাঞ্চলকে নিরাপদ ঘাঁটি ভেবে সেখানে জঙ্গী আস্তানা তৈরির চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে তাদের সে উদ্যোগ বা কৌশল সফল হতে পারেনি। জঙ্গী নির্মূলে আইন শৃৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে।
সরকারি দলের হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, ইতোপূর্বে জঙ্গী/ সন্ত্রাসী/ নাশকতামূলক/ ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের কর্মকান্ড ও গতিবিধি সম্পর্কে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গী ও সন্ত্রাসীসহ সকল অপরাধীদের কর্মকান্ড রোধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৩:৩১ ২৯৯ বার পঠিত