
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী আর নেই। প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে শুক্রবার দিবাগত পৌনে ২টার দিকে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে …. রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর। তিনি পাঁচ মেয়ে এবং চার ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
স্বাধীনতা উত্তর কুমিল্লা জেলার প্রথম প্রশাসক অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর ছোট মেয়ে আইরিন আহমেদ জানান, তার বাবার প্রথম নামাজে জানাজা আজ শনিবার সকাল ১০টায় তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাজলিয়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাদ আছর কুমিল্লা টাউন হল মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব অ্যাডভোকেট আহমেদ আলীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কুমিল্লায় সকল মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
৯৭ বছর বয়সী এ নেতা ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের গণপরিষদ নির্বাচনে বৃহত্তর কুমিল্লা-৫ আসনের (বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) এমএলএ নির্বাচিত হন, যা ১৯৭১ সালে মেম্বার অব কনস্টিটিউশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটরে (এমসিএ) রূপান্তরিত হয়। কুমিল্লার প্রথম প্রশাসক আহমেদ আলী নেতৃত্ব দিয়েছেন ভাষা আন্দোলনে। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ এ সহচর ১৯৫৩ সালে কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলা বার কাউন্সিলের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বার কাউন্সিলের প্রথম নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। এদিকে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর কুমিল্লা মুক্ত দিবসে তিনি নগরীর টাউন হল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ ১৯৩২ সালের ১ মার্চ তৎকালীন বৃহত্তর কুমিল্লার বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কাজলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ইতিকথা’সহ তিনি বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৮:১৭ ২৩৯ বার পঠিত