
করোনাভাইরাস প্রতিরোধকালীন সময়ে হত দরিদ্র ও খেটে খাওয়া শ্রমিকদের মধ্যে ৩শ’ জনের প্রতিদিনের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন।
সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে শহরের আল-আরাফ হোটেল, চাঁদপুর হোটেল ও নতুন বাজার ক্যাফে ঝীলে এই খাবারের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে চাঁদপুর হোটেল ও আল-আরাফ হোটেলে টেবিলে বসেই ২শ’ দরিদ্র মানুষ দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন। বাকি ক্যাফে ঝীলে ১শ’ মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়।
৩টি হোটেলের খাবার পরিবেশন পরিদর্শন ও প্যাকেট খাবার বিতরণ করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মানিক ও চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, জেলা প্রশাসনের ভিক্ষুকমুক্ত তহবিলের অর্থায়নে করোনাভাইরাস প্রতিরোধকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোক ও খেঁটে খাওয়া মানুষদেরকে প্রতিদিন একবার খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবারের মধ্যে রয়েছে, রুটি/ভাত, তরকারি, ডাল ও সবজি। ভাইরাস প্রতিরোধকালীন সময়ে এভাবে খাবার বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চাঁদপুর শহরের গরীবদের মাঝে চাল বিতরণ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সততা স্টোর, দু’টি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ২০ শতাংশ ছাড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি, একটি ফার্মেসি ও একটি হাসপাতালে একেবারে প্রয়োজনীয় ওষুধের ৫০ শতাংশ কম মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব ওষুধের ৫০ শতাংশ টাকা জেলা প্রশাসন পরিশোধ করবে।

এদিকে, জেলা পুলিশের উদ্যোগে শহরের মেঘনা নদীর পাড় এলাকায় দিনমজুরদের মাঝে চাল, আটা, ডাল, লবণসহ ৭শ’ টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দুপুরে শহরের কোড়ালিয়া রোড মেঘনা নদীর পাড় এলাকায় কোড়ালিয়া পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ১শ’ গরিব অসহায় মানুষের হাতে এই খাবারের প্যাকেট তুলে দেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)।
পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমান পিপিএম বলেন, আমাদের উদ্যোগটি হচ্ছে যারা প্রকৃত পক্ষে গরীব এবং দিন আনে দিন খায় তাদের হাতে এই খাবার পৌঁছে দেয়া। আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই সংকটময় মুহূর্তে এগিয়ে আসা উচিৎ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১০:১৯ ১৬৪ বার পঠিত