ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ২শ’ কেজির মধ্যে ১শ’ ৬০ কেজি গাঁজা গায়েব করে দেয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। থানার একটি পরিত্যক্ত বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে এই গাঁজা। এ ঘটনায় জড়িত ওই পুলিশ সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান- এ ঘটনায় রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) ৪ সদস্যও জড়িত। তারা হচ্ছেন- কনস্টেবল মহিউদ্দিন, ইব্রাহিম, তাজুল ইসলাম ও আবদুল আজিজ। এ ৪ জনকে ক্লোজ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরআরএফ’র পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে জব্দকৃত গাঁজা আত্মসাৎ করার ঘটনায় বুধবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয় কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) শ্যামল মজুমদার, এস.আই মো. মনির হোসেন-১, সহকারী উপপরিদর্শক (এ.এস.আই) মো. সালাহ উদ্দিন, এ.এস.আই মো. ফারুক আহাম্মদ, পুলিশ কনস্টেবল মো. শাহজাহান ও কনস্টেবল আবুল কাশেমকে। গাঁজা আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকেই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তারা।
পুলিশের সূত্র জানায়- চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ফতেহাবাদ গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে হাসান মিয়া (৩০) ও পটুয়াখালীর বাউফল থানার ইন্দ্রকোল গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে আল-আমিন (৩৩) গত মঙ্গলবার দুপুরে কসবা সীমান্ত থেকে দুটি প্রাইভেটকারে করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে ঢাকার পথে রওনা দেয়। কসবা থানা পুলিশ গোপন খবর পেয়ে পৌর এলাকার টি.আলী বাড়ি মোড়ে গাড়ি দুটি তল্লাশি করে। তারা বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার এবং ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। কিন্তু পরবর্তীতে এএসআই সালাউদ্দিন ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে একটি মামলা করেন। বিপুল পরিমাণ গাঁজা সরিয়ে ফেলার অভিযোগ পেয়ে ওই রাতে কসবায় ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন। তিনি থানার একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে ১৬০ কেজি গাঁজা জব্দ করেন। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইনকে প্রধান করে জেলা পুলিশ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৮:৩০ ৩৬৫ বার পঠিত