
রূপগঞ্জে গত চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারসহ ৭ জন করোনাভাইরাস (কোভিট-১৯) পজেটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সাইদ আল মামুন।
এ ঘটনায় করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের এলাকায়। কয়েকজন সাধারণ রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। চিকিৎসাসেবা নিতে আসছেন না নতুন কোন রোগীও। এতে করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা মারত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে করোনা পজেটিভ নিয়ে আসা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বীর হাটাবো এলাকার কলেজ ছাত্রী আছমা উল হোসনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তার সংস্পর্শে আসা তার মা নাছিমা বেগমসহ হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ করে দুইদিন আগে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এলে জানা যায়, হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার লাকী আক্তার, রেডিওলোজি অপারেটর সেলিনা বেগম, হাসপাতালের খন্ডকালীন বাবুর্চি পারভীন বেগম, হাসপাতালের আয়া আনোয়ারা বেগম, কলেজছাত্রী আছমা-উল হোসনার মা নাছিমা বেগম, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ভিংরাবো এলাকার পলাশ সরকার ও ভুলতা ইউনিয়নের মাছুমাবাদ গ্রামের জাহের মিয়া করোনাভাইরাস (কোভিট-১৯) পজেটিভ শনাক্ত হয়। তবে উল্লেখিত কারো শরীরেই আক্রান্তের কোন উপসর্গ ছিলো না।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সাইদ আল মামুন জানান, ধারণা করা হচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা আছমার মাধ্যেমে তারা আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত ৭ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই আলাদা ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান ডাঃ সাঈদ আল মামুন। এ নিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৩:১৭ ১৫২ বার পঠিত